সাহারানপুর (উত্তরপ্রদেশ), 14 ফেব্রুয়ারি: পণের 25 লাখ নগদ ও স্করপিও গাড়ি দেওয়া হয়নি ৷ তাতেই ক্ষুব্ধ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ৷ মারধরের পাশাপাশি মহিলাকে এইচআইভি ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ৷ এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে ৷ ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা ৷ এরপর অভিযুক্ত স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গাঙ্গোহ থানায় মামলা দায়ের করা হয় । জেলা পুলিশ সুপার সাগর জৈন জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধ এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গাঙ্গোহ এলাকার একটি গ্রামের এক বাসিন্দা পুলিশকে জানান, তিনি 2023 সালের ফেব্রুয়ারিতে হরিদ্বারের এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন । সেই সময় যৌতুক হিসেবে তিনি একটি গাড়ি, নগদ 15 লক্ষ টাকা এবং লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না উপহার দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও, তারা সন্তুষ্ট ছিল না । এত কিছু পাওয়ার পরেও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিয়ের পর একটি স্করপিও এবং নগদ 25 লক্ষ টাকা দাবি করছিল ।
কিন্তু এত বিপুল টাকা যৌতুক তিনি আর দিতে পারবেন বলে জানান নির্যাতিতার বাবা ৷ তারপর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে । প্রায় প্রতিদিনই মারধর করা হত । শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর মেয়েকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় । নির্যাতিতার বাবা আরও জানান, এই ঘটনার কিছুদিন পর সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও পঞ্চায়েতের চাপে মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে ফেরত পাঠানো হয় ৷ কিন্তু তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি ৷ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নির্যাতিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিছু ওষুধ দিয়েছিল এবং তাকে এইচআইভি ইনজেকশনও দিয়ে দেয় ।
মেয়ের এই অবস্থার কথা জানতে পেরে তারা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ সেখানে পরীক্ষার পর নির্যাতিতাকে এইচআইভি সংক্রমণ ধরা পড়ে । কিন্তু পরীক্ষায় স্বামীর এইচআইভি নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছে। এরপরই নির্যাতিতার বাবা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে, গাঙ্গোহ থানা সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে মামলার তদন্ত শুরু করেছে ।