বালুরঘাট, 16 জুলাই: এ যেন কোনও বলিউডের সিনেমার দৃশ্য ৷ হাসপাতাল চত্বরে পুলিশের গাড়ি থেকে এক তরুণীকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল 20-22 জনের একটি দল ৷ তাও আবার পুলিশ কর্মীদের মারধর করে ৷ ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের ৷
কী ঘটেছিল ? পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার বছর 19’র ওই তরুণীকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল টেস্টের জন্য ৷ তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পর, আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালের সামনে পুলিশের গাড়ি থেকে তরুণীকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, যারা ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে, তারা আদতে তরুণীর পরিবারের লোকজন ৷
কিন্তু, কেন এমনটা করলেন তাঁরা ? পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে তরুণী পালিয়ে গিয়ে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন ৷ তখনও মেয়েটির পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷ সম্প্রতি তরুণীর পরিবার তপন থানায় অভিযোগ দায়ের করে, তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ এরপর জোর করে তাঁকে বিয়ে করেছেন ওই যুবক ৷ পুলিশ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে এবং তরুণীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে ৷
আজ তরুণীকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল তাঁর জবানবন্দি নিতে ৷ তার আগে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ ৷ মেডিক্যাল পরীক্ষা করার পর তরুণীকে গাড়িতে তোলা হয় ৷ কিন্তু, তখনই হাসপাতাল চত্বরে বেশ কয়েকটি গাড়ি এসে থামে ৷ সেখান থেকে 20-22 জন নেমে আসে ও পুলিশের গাড়ি থেকে তরুণীকে তুলে নিয়ে চলে যায় ৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা বাধা দিতে গেলে, তাঁদের মারধর করা হয় ৷
পুলিশের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, মেয়েটির পরিবারের সদস্যরাই তাঁকে পুলিশের হাত থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে ৷ ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি তরুণীকে অপহরণের মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা ? পুলিশকে দিয়ে তরুণীকে খুঁজে বের করার পর, তাঁকে সত্যিই অপহরণ করা হল ? এই ঘটনায় তপন থানার তরফে বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ যেখানে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধর ৷ পুলিশ হেফাজত থেকে তরুণীকে অপহরণ-সহ একাধিক ধারা যোগ করা হয়েছে ৷ পুলিশ এই মুহূর্তে ওই তরুণীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ৷