ETV Bharat / state

বিজেপি করার 'অপরাধ', মেয়ের পরীক্ষার জন্য রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পেলেন না মহিলা - TMC apathy for BJP

TMC apathy for BJP: স্রেফ বিজেপি করার 'অপরাধে' মেয়ের পরীক্ষার জন্য রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পেলেন না এক মহিলা । এমনই অভিযোগ উঠেছে হাসনাবাদ এলাকায় ৷ এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ।

ETV BHARAT
মেয়ের পরীক্ষার রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পেলেন না মহিলা (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 23, 2024, 6:33 PM IST

Updated : Jul 23, 2024, 7:23 PM IST

হাসনাবাদ, 23 জুলাই: মেয়ের স্কলারশিপ পরীক্ষার জন্য এক মহিলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছিলেন রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিতে । সেই সার্টিফিকেট তো মেলেইনি । উলটে দুর্ব্যবহার করে তাঁকে পঞ্চায়েত অফিস থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে । মহিলার পরিবারের সদস্যরা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই তাঁর মেয়ের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ৷

বিজেপি করার 'অপরাধ', পরিষেবা পেলেন না মহিলা (নিজস্ব ভিডিয়ো)

অভিযুক্ত সেলিম মোল্লা পাটলিখানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি । ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই মঙ্গলবার শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর 24 পরগনার হাসনাবাদের ঘুনী এলাকায় । এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী মহিলা । অভিযোগ করেছেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরেও । যদিও একে ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা ।

অভিযোগ, শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে পঞ্চায়েত অফিস থেকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি অনিন্দিতা ভুঁইয়া নামে ওই মহিলাকে । তিনি তাঁর অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া কন্যার পরীক্ষার জন্য পাটলিখানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন সার্টিফিকেট আনার জন্য । অভিযোগ, তখনই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী কাদের গাজির উপস্থিতিতে তাঁকে অপমান করে পঞ্চায়েত অফিস থেকে তাড়িয়ে দেন তৃণমূল নেতা সেলিম মোল্লা । শুধু অপমান করাই নয়, মহিলার উদ্দেশে হুমকি দিয়ে বলা হয়, তিনি যেন তাঁর মেয়ের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে নিয়ে আসেন । আর এতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে ।

প্রশ্ন উঠেছে, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস তো সাধারণ মানুষের জন্যই ! সেখান থেকে যে কোনও পরিষেবা সহজে মিলবে, এটাই আশা করে থাকেন সকলে । কিন্তু, সেই পরিষেবা রাজনৈতিক রং দেখে দেওয়া হবে, এটা হয়তো কেউই আশা করেন না । কিন্তু, বাস্তবে রাজনীতিতে সেটাই ঘটছে বারবার ! যা ঘটেছে এক্ষেত্রেও ।

ভুক্তভোগী অনিন্দিতা ভুঁইয়ার দাবি, "বিজেপির স্ট্যাম্প মেরে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের পরিবারের গায়ে । তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বরাবর তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত । শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তাঁদের উপর অনেক ঝড়-ঝাপটাও এসেছে । তা সত্ত্বেও কেন বলা হচ্ছে পরিবারের লোকজন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত, তা বুঝতে পারছি না । আমরা চাই, এর একটা বিহিত হোক । যেন সসম্মানে সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে পারি পঞ্চায়েত অফিস থেকে ।"

যদিও, যাঁর বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ সেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সেলিম মোল্লা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তাঁর দাবি, "পাটলিখানপুর পঞ্চায়েতে কোনও রাজনৈতিক রং দেখে পরিষেবা দেওয়া হয় না । ওই মহিলা বিকেল চারটের পর পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলেন । তখন পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ হওয়ার মুখে । সেই কারণে তাঁকে পরের দিন আসতে বলা হয়েছিল । কেন শুধু শুধু তাঁকে পঞ্চায়েত অফিস থেকে তাড়িয়ে দিতে যাব ? বিরোধীদের কাজ শুধু বিরোধিতা এবং সমালোচনা করা । অভিযোগ করতে হবে বলেই অভিযোগ করছে । এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই ।"

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে ক্যানসার আক্রান্ত এক রোগীকে প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডের সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল । তাঁর কাছ থেকে সার্টিফিকেট না-পেয়ে শেষে ভুক্তভোগী ওই ব‍্যক্তি দ্বারস্থ হন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদের । তাঁর উদ্যোগেই সার্টিফিকেট মেলে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর ।

হাসনাবাদ, 23 জুলাই: মেয়ের স্কলারশিপ পরীক্ষার জন্য এক মহিলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছিলেন রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিতে । সেই সার্টিফিকেট তো মেলেইনি । উলটে দুর্ব্যবহার করে তাঁকে পঞ্চায়েত অফিস থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে । মহিলার পরিবারের সদস্যরা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই তাঁর মেয়ের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ৷

বিজেপি করার 'অপরাধ', পরিষেবা পেলেন না মহিলা (নিজস্ব ভিডিয়ো)

অভিযুক্ত সেলিম মোল্লা পাটলিখানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি । ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই মঙ্গলবার শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর 24 পরগনার হাসনাবাদের ঘুনী এলাকায় । এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী মহিলা । অভিযোগ করেছেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরেও । যদিও একে ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা ।

অভিযোগ, শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে পঞ্চায়েত অফিস থেকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি অনিন্দিতা ভুঁইয়া নামে ওই মহিলাকে । তিনি তাঁর অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া কন্যার পরীক্ষার জন্য পাটলিখানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন সার্টিফিকেট আনার জন্য । অভিযোগ, তখনই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী কাদের গাজির উপস্থিতিতে তাঁকে অপমান করে পঞ্চায়েত অফিস থেকে তাড়িয়ে দেন তৃণমূল নেতা সেলিম মোল্লা । শুধু অপমান করাই নয়, মহিলার উদ্দেশে হুমকি দিয়ে বলা হয়, তিনি যেন তাঁর মেয়ের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে নিয়ে আসেন । আর এতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে ।

প্রশ্ন উঠেছে, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস তো সাধারণ মানুষের জন্যই ! সেখান থেকে যে কোনও পরিষেবা সহজে মিলবে, এটাই আশা করে থাকেন সকলে । কিন্তু, সেই পরিষেবা রাজনৈতিক রং দেখে দেওয়া হবে, এটা হয়তো কেউই আশা করেন না । কিন্তু, বাস্তবে রাজনীতিতে সেটাই ঘটছে বারবার ! যা ঘটেছে এক্ষেত্রেও ।

ভুক্তভোগী অনিন্দিতা ভুঁইয়ার দাবি, "বিজেপির স্ট্যাম্প মেরে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের পরিবারের গায়ে । তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বরাবর তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত । শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তাঁদের উপর অনেক ঝড়-ঝাপটাও এসেছে । তা সত্ত্বেও কেন বলা হচ্ছে পরিবারের লোকজন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত, তা বুঝতে পারছি না । আমরা চাই, এর একটা বিহিত হোক । যেন সসম্মানে সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে পারি পঞ্চায়েত অফিস থেকে ।"

যদিও, যাঁর বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ সেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সেলিম মোল্লা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তাঁর দাবি, "পাটলিখানপুর পঞ্চায়েতে কোনও রাজনৈতিক রং দেখে পরিষেবা দেওয়া হয় না । ওই মহিলা বিকেল চারটের পর পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলেন । তখন পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ হওয়ার মুখে । সেই কারণে তাঁকে পরের দিন আসতে বলা হয়েছিল । কেন শুধু শুধু তাঁকে পঞ্চায়েত অফিস থেকে তাড়িয়ে দিতে যাব ? বিরোধীদের কাজ শুধু বিরোধিতা এবং সমালোচনা করা । অভিযোগ করতে হবে বলেই অভিযোগ করছে । এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই ।"

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে ক্যানসার আক্রান্ত এক রোগীকে প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডের সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল । তাঁর কাছ থেকে সার্টিফিকেট না-পেয়ে শেষে ভুক্তভোগী ওই ব‍্যক্তি দ্বারস্থ হন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদের । তাঁর উদ্যোগেই সার্টিফিকেট মেলে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর ।

Last Updated : Jul 23, 2024, 7:23 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.