বর্ধমান, 18 জানুয়ারি: হাসপাতালের আবাসনের ভিতরে ঢুকে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর গলায় ছুরির কোপ মারল দুষ্কৃতীরা ৷ অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন স্বাস্থ্যকর্মী ৷ গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে ৷ পূর্ব বর্ধমানের মানকরে ঘটনাটি ঘটেছে ৷ এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা ৷ হাসপাতালের এই আবাসনের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মানকর গ্রামীণ হাসাপাতালের আবাসনের অবস্থা খুবই খারাপ । আবাসনের সংখ্যাও কম । হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার বসবাস করেন সেখানে । আহত স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবার জানিয়েছে, হাসপাতালের আবাসন থেকে কিছুটা দূরে নিজেদের বাড়ি তৈরি করছেন ৷ শুক্রবার দুপুর নাগাদ আহত দীপ্তিকণা চৌধুরীর স্বামী ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির দেখভাল করছিলেন । সেই সময় দুই দুষ্কৃতী ওই আবাসনে ঢুকে পড়ে । দীপ্তিকণা তাদের বাধা দিতে গেলে তাঁর গলায় ছুরির কোপ বসায় দুষ্কৃতীরা । নিমিষের মধ্য়ে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি ৷
গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পরে অবস্থার অবনতি হলে ওই স্বাস্থ্য়কর্মীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ তাঁর পরিবারের অনুমান, চুরি করার উদ্দেশ্যে হয়তো দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকেছিল ৷ বিষয়টি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাদের বাধা দেন দীপ্তিকণা ৷ ঘটনায় ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ কে বা কারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত ? হামলার কারণ কী ? সবদিক খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা ৷
দীপ্তিকণার স্বামী উত্তম চৌধুরী বলেন, "আবাসন ক্যাম্প্যাসের অবস্থা খুবই খারাপ । হাতে গোনা 4-5টি পরিবার ওই ক্যাম্পাসে বসবাস করে । এদিন, দুই দুষ্কৃতী আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে । তারা সম্ভবত চুরি করার উদ্দেশ্য নিয়েই বাড়িতে ঢুকেছিল ৷ স্ত্রী তাদের কাজে বাধা দেওয়ায় তাঁর এই অবস্থা ৷"