হায়দরাবাদ, 18 জানুয়ারি: সইফ আলি খানের ওপর হামলার দিন ঠিক কী কী হয়েছিল, পুলিশের কাছে বয়ান রেকর্ড করলেন করিনা কাপুর খান ৷ তিনি জানালেন হামলাকারী ভীষণ হিংস্র ছিল ৷ কিন্তু কোনওরকম জুয়েলারির দিকে হাত দেননি ৷
অভিনেতার ওপর হামলার ঘটনার দুদিন পর পুলিশ অভিনেত্রী করিনার বয়ান রেকর্ড করে ৷ শনিবার নিজের বয়ানে অভিনেত্রী জানান, সইফের সঙ্গে বচসার সময় দুষ্কৃতী ভীষণ হিংস্র হয়ে পড়ে ৷ কিন্তু ঘরের ভিতর যে সোনা বা অলঙ্কার রাখা ছিল, সেই সবকিছুতে হাত দেয়নি হামলাকারী ৷ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বান্দ্রার সৎগুরু শরণ বিল্ডিংয়ের 12 তলায় সইফের বাড়িতে প্রবেশ করেন ওই আততায়ী ৷ পরিচারকের নজরে পড়ার পরেই শুরু হয় বচসা ৷ সেখান থেকেই সইফের ওপর ধারালো ছুরি দিয়ে হামলা ৷
পুলিশের কাছে করিনা বয়ানে আরও জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি তাঁদের সন্তান তৈমুর ও জেহকে নিজের ঘরে পাঠিয়ে দেন ৷ সইফ সন্তানদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন ৷ সইফ এসে পরার কারণেই দুষ্কৃতী তাঁদের ছোট ছেলে জেহের কাছে পৌঁছাতে পারেনি ৷ পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন হামলার পর তিনি আর তাঁদের বাড়িতে ছিলেন না ৷ খারে করিশ্মা কাপুরের বাড়িতে ছিলেন ৷ তিনি বলেন, "সইফের ওপর হামলার পর আমি ভয় পেয়ে যাই ৷ করিশ্মা আমাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যায় ৷"
সইফের আগে শাহরুখ ছিলেন টার্গেট ? হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন অভিনেতা ?
হামলাকারীকে ধরার জন্য চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷ গত 48 ঘণ্টায় 30 জনের একটি টিম খোঁজ চালাচ্ছে হামলাকারীর ৷ এর আগে হামলার ঘটনায় কোনও আন্ডারওয়ার্ল্ডের লোক জড়িত কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছিল ৷ তবে মহারাষ্ট্র মন্ত্রীর তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হামলাকারী কোনও গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত নয় ৷ হয়তো সে জানতও না কার বাড়িতে চুরি করার পরিকল্পনা নিয়ে ঢুকেছে ৷ ঘটনায় সন্দেহে পুলিশ এক কাঠমিস্ত্রীকে আটক করে শুক্রবার ৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে বান্দ্রা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পুলিশ জানায়, "যে ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার আটক করা হয়েছিল তাঁকে ছেঁড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ ওই ব্যক্তিকে পুলিশ ধরেছিল কারণ তাঁকে অনেকটাই হামলাকারীর মতো দেখতে ছিল ৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই ব্যক্তির সঙ্গে প্রথমে মিল পাওয়া যায় ৷ কিন্তু তিনি ঘটনার সময় অন্য জায়গায় ছিলেন, তার প্রমাণ মিলেছে ৷" পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও মূল হামলাকারীকে এখনও পুলিশ খুঁজছে ৷