কলকাতা, 2 মে: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী কর্মী। সূত্রের খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছেন ওই মহিলা। তবে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের কোনও আধিকারিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ খুলতে চাননি। তবে ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, "সত্যের জয় হবেই। কেউ যদি মনে করে আমায় কলুষিত করে নির্বাচনী সুবিধা পাবে তাহলে ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাস চলছে তার বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলছে।" পাশাপাশি দুই কর্মী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির মতো আচরণ করে তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি রাজ্যপালের।
স্বভাবতই এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য়সভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "প্রধানমন্ত্রী রাতে রাজভবনে থাকবেন। তার আগে এক কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। তাঁকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ অভাবনীয়।" এর পাশপাশি তৃণমূুলের তরফেও আলাদা করে পোস্ট করে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যে হেয়ার স্ট্রিট থানায় পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল।
সূত্রের দাবি, অভিযোগকারী রাজভবনের কোয়াটারে থাকেন। তিনি রাজভবনের পিসরুমের কর্মী। 2019 সাল থেকে রাজভবনে অস্থায়ী চাকরি করছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপান দু'দিন তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন। গত 24 তারিখ প্রথমবার তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়। সেদিন স্থায়ী চাকরির বিষয়ে কথা বলতেই রাজ্যপাল তাঁকে ডেকেছিলেন। তাঁর অভিযোগ সেদিন কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন।
এরপর বৃহস্পতিবার ফের তাঁকে ডাকা হয়। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার সময় ওই মহিলা সঙ্গে আর এক কর্মীকে নিয়ে যান। কিন্তু, বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পরে দ্বিতীয় মহিলাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এরপর ফের তাঁর শীলতাহানি করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাত্রিবাস করার কথা রয়েছে। তার আগে সেই রাজভবনকে ঘিরেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠল।
আরও পড়ুন: