কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিতে জারি রয়েছে 144 ধারা । এই 144 ধারা প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন গ্রামবাসীরা । পাশাপাশি তাঁদের দাবি, ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করে অবিলম্বে জনজীবন স্বাভাবিক করতে হবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশকে ভূমিকা নিতে হবে ৷ সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরাতে আদালত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক ৷ গ্রামবাসীদের বক্তব্য, "আমাদের জমি জোর করে দখল করা হয়েছে । চূড়ান্ত আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছে সন্দেশখালিতে। একটা দ্বীপে মানুষগুলো আটকে আছে । মামলাটুকু দায়ের করার জন্য আসতে হলেও হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। এর ফলে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ৷"
তাই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু ও 144 ধারা প্রত্যাহার-সহ বিভিন্ন দাবিতে মামলা দায়ের করার আবেদন জানিয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় সোমবার। আইনজীবীদের অন্তত সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। এমনটাই আবেদন করেন মামালকারীদের আইনজীবী । তাঁর কথায়, কিছুক্ষেত্রে পুলিশ নিষ্ক্রিয়, আবার কিছুক্ষেত্রে অতি সক্রিয় ৷ জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আর্জি করা হয়েছে আদালতে । মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। আগামিকাল মামলার শুনানির আশ্বাসও দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ।
বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্র টানা তিনদিন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সন্দেশখালিতে ৷ অশান্ত সন্দেশখালিকে শান্ত করতে শেষে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটে প্রশাসন। সন্দেশখালিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা হয় 144 ধারা । সন্দেশখালি 2 ব্লকের মোট 16টি পঞ্চায়েত এলাকাজুড়ে এই 144 ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছিল প্রশাসন। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করা হয় সন্দেশখালিতে ।
সন্দেশখালিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই নতুন করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না-চলে যায়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর হয় পুলিশ-প্রশাসন । তাই সেখানে জারি করা হয় 144 ধারা। যদিও শুক্রবার রাতে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা বলেছিলেন, "পরিস্থিতি সেই সময়ের মতো পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে। অশান্তিতে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন: