ETV Bharat / state

ঢুকেছিলেন রিজার্ভার সারাতে, বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু দুই রাজমিস্ত্রির - Workers Died while Working

Workers Died due to Suffocation: রিজার্ভার সংস্কার করতে নেমে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল দুই রাজমিস্ত্রির ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের একটি আবাসনে ৷ দমকল বাহিনীর অনুমান, রিজার্ভারের ভেতরে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল । সেই গ্যাস থেকেই এই দুর্ঘটনা ৷

Workers Died due to Suffocation
বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু দুই রাজমিস্ত্রির (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 31, 2024, 4:02 PM IST

দুর্গাপুর, 31 জুলাই: রিজার্ভার সংস্কারের কাজে নেমে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের ৷ ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায় ৷ মৃত রাজমিস্ত্রি ও তাঁর সহকারীর নাম হুমায়ুন শেখ (55) ও বাবলু শেখ (27) । দুই শ্রমিকের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা । ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের 27 নং ওয়ার্ডের পার্ক অ্যাভিনিউ এলাকার একটি আবাসনে ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের একটি আবাসনের রিজার্ভার সংস্কারের কাজ চলছিল ৷ 15 দিন আগে সেই রিজার্ভার ঢালাই করে মুর্শিদাবাদের দুই রাজমিস্ত্রি দেশের বাড়ি যান ৷ 15 দিন পর ফিরে এসে বুধবার ঢালাইয়ের পাটা খোলার কাজ করতে নামেন সহকারি বাবলু শেখ ৷ রিজার্ভারে নেমে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল বাবলুর ৷ তাঁর চিৎকার শুনে রিজার্ভারে ঝাঁপ দেন হুমায়ুন শেখ ৷ তাঁরও সেই দুর্গন্ধে দমবন্ধ হয়ে যায় ৷ উপরে থাকা আরেক রাজমিস্ত্রি চিৎকার করতেই ছুটে আসে স্থানীয়রা ৷

খবর দেওয়া হয় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ এবং দমকল বিভাগে ৷ দমকল কর্মীরা ওই দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ৷ নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ দু’জনকে প্রথমে বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে ৷ তারপরে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ৷

সংস্কার হওয়া বাড়ির দেখভালের দায়িত্বে থাকা কাঞ্চন লায়েক বলেন, ‘‘ওই বাড়িতে থাকতেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ৷ উনি করোনার সময় মারা যান ৷ ছেলেরা সৌদি আরবে থাকেন । বর্তমানে ওই বাড়ি আমিই দেখাশোনা করি । রিজার্ভার সংস্কারের কাজ করাচ্ছিলাম ৷ আজ সকালে পাটা খুলতে নেমে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই রাজমিস্ত্রির ৷’’

দমকল বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, রিজার্ভারের ভিতরে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল । সেই গ্যাস থেকেই এই দুর্ঘটনা ৷ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মণ্ডল বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে কোনও ট্যাঙ্ক বন্ধ থাকলে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয় । সেই গ্যাস থেকেই এই দুই শ্রমিকের মৃত্যু বলে আমাদের প্রাথমিক অনুমান ৷ তবে ময়নাতদন্তের পরেই আসল কারণ জানা যাবে ৷’’

দুর্গাপুর, 31 জুলাই: রিজার্ভার সংস্কারের কাজে নেমে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের ৷ ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায় ৷ মৃত রাজমিস্ত্রি ও তাঁর সহকারীর নাম হুমায়ুন শেখ (55) ও বাবলু শেখ (27) । দুই শ্রমিকের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা । ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের 27 নং ওয়ার্ডের পার্ক অ্যাভিনিউ এলাকার একটি আবাসনে ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের একটি আবাসনের রিজার্ভার সংস্কারের কাজ চলছিল ৷ 15 দিন আগে সেই রিজার্ভার ঢালাই করে মুর্শিদাবাদের দুই রাজমিস্ত্রি দেশের বাড়ি যান ৷ 15 দিন পর ফিরে এসে বুধবার ঢালাইয়ের পাটা খোলার কাজ করতে নামেন সহকারি বাবলু শেখ ৷ রিজার্ভারে নেমে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল বাবলুর ৷ তাঁর চিৎকার শুনে রিজার্ভারে ঝাঁপ দেন হুমায়ুন শেখ ৷ তাঁরও সেই দুর্গন্ধে দমবন্ধ হয়ে যায় ৷ উপরে থাকা আরেক রাজমিস্ত্রি চিৎকার করতেই ছুটে আসে স্থানীয়রা ৷

খবর দেওয়া হয় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ এবং দমকল বিভাগে ৷ দমকল কর্মীরা ওই দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ৷ নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ দু’জনকে প্রথমে বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে ৷ তারপরে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ৷

সংস্কার হওয়া বাড়ির দেখভালের দায়িত্বে থাকা কাঞ্চন লায়েক বলেন, ‘‘ওই বাড়িতে থাকতেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ৷ উনি করোনার সময় মারা যান ৷ ছেলেরা সৌদি আরবে থাকেন । বর্তমানে ওই বাড়ি আমিই দেখাশোনা করি । রিজার্ভার সংস্কারের কাজ করাচ্ছিলাম ৷ আজ সকালে পাটা খুলতে নেমে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই রাজমিস্ত্রির ৷’’

দমকল বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, রিজার্ভারের ভিতরে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল । সেই গ্যাস থেকেই এই দুর্ঘটনা ৷ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মণ্ডল বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে কোনও ট্যাঙ্ক বন্ধ থাকলে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয় । সেই গ্যাস থেকেই এই দুই শ্রমিকের মৃত্যু বলে আমাদের প্রাথমিক অনুমান ৷ তবে ময়নাতদন্তের পরেই আসল কারণ জানা যাবে ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.