দার্জিলিং, 23 জুলাই: জমিকাণ্ডে এবার গ্রেফতার আরও এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। 21 জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরতেই জমি কাণ্ডে গ্রেফতার ওই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। জাল নথি তৈরি করে সরকারি জমি দখল করার পর তা প্লট বিক্রির অভিযোগে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তারপরই তাঁকে গ্রেফতার হতে হল ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার নাম আশরাফ আনসারি। তিনি নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। পাশাপাশি তিনি হাতিঘিসা অঞ্চল কমিটির সভাপতিও। মঙ্গলবার তাঁকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। গত 12 জুলাই নকশালবাড়ি বিএলআরও'র অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আশরাফের গ্রেফতারির পরই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল।
এবিষয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, "আমার বিষয়টি জানা নেই। আমি এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছি। তবে আইন আইনের পথেই চলবে।" তবে ধৃত আশরাফ আনসারি বলেন, "আমি সব সময় মানুষের জন্য কাজ করি। আমি নিজেই সরকারি জমি দখলের বিষয়ে দলের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। এখন উল্টে আমাকে দালাল সাজিয়ে ফাঁসানো হল।"
জানা গিয়েছে, নকশালবাড়ি ব্লকের সেবদোল্লাজোতে প্রায় 60 বিঘা সরকারি জমি জাল নথি তৈরি করে প্লট হিসেবে ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে মোটা টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এই খবর পেতেই তদন্তে নামের নকশালবাড়ি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে দশজনের নামে নকশালবাড়ি থানায় অভিযোগ জানানো হয়। এমনকী ধৃত ওই তৃণমূল নেতা সেবদোল্লাজোতে প্রায় ছয় বিঘা জমির জাল নথি বানিয়ে নিজের এবং নিজের বাবার নামে দখল করে নেয়।
এইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরে নকশালবাড়ি থানায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের তরফে। কলকাতায় আয়োজিত 21 জুলাইয়ের শহিদ দিবস থেকে বাড়িতে ফিরতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, এর আগে সরকারি জমির দখল করার ঘটনায় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য দেবাশিস প্রামাণিক এবং শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভোট সদস্য তথা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷