রায়দিঘি, 2 নভেম্বর: ফের আবাস প্রকল্পের ঘরের তালিকা নিয়ে উত্তেজনা। এবার উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ 24 পরগনার রায়দিঘি থানার অন্তর্গত কুমড়োপাড়া গ্রাম পঞ্চয়েতের পুরকাইত ঘেরী এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে পুরকাইত ঘেরী এলাকার চিকেনের মোড়ে স্থানীয় 'নির্দল' সদস্যর পক্ষ থেকে আবাস প্রকল্পের তালিকায় যারা ঘর পেয়েছেন তাদের একটি তালিকা ফ্লেক্সের মাধ্যমে টানানো হয়। এরপর গন্ডগোলে সরাসরি জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও রায়দিঘি থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারও।
নির্দল সদস্যের তরফে 130 জনের যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল সেখানে নাম ছিল গ্রামের ওই সিভিক ভলান্টিয়ার সাবির হোসেনেরও। দোতলা বাড়ির বাসিন্দা সিভিক ভলান্টিয়ার সাবির হোসেন ফ্লেক্সটি ছিঁড়ে দেন। এরপর গণ্ডগোল শুরু হয় নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। পুলিশ পৌঁছয় গ্রামে। নির্দল প্রার্থীর এক সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় আহত হয় কুমড়োপাড়া অঞ্চল সভাপতি জ্ঞানরঞ্জন মজুমদার। এ বিষয়ে রায়দিঘির বিধায়ক অলোক জলদাতা জানান, গতকাল চিকেন মোড়ের কাছে বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন আবাস প্রকল্পের তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের নামের লিস্ট বানিয়ে ফেক্স আকারে রাস্তার মোড়ে টাঙিয়ে দেয় ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়দিঘী থানার পুলিশ এবং কুমড়োপাড়া অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি জ্ঞানোরঞ্জন মজুমদার। উত্তেজনার নিয়ন্ত্রণ করার সময় বিরোধী দলের লোকজনের জ্ঞানরঞ্জন মজুমদারকে মারধর করে বলে অভিযোগ বিধায়কের।
তাঁর কথায়, "এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর জন্যই বিরোধীরা চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।" ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মনোয়ার হোসেন মোল্লা। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে শনিবার ডায়মন্ডহারবার মহকুমার আদালতে পেশ করে রায়দিঘী থানার পুলিশ।