বলাগড়, 23 মার্চ: হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার সারলেন দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ বিলের প্রশংসা করে মতুয়া ভোটকেই টার্গেট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ সভামঞ্চ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পুরোহিতের সার্টিফিকেট পেলেই নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন শরণার্থীরা।
শুক্রবার বলাগড় বারুজীবী ফুটবল মাঠে জনগণের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন নাগরিকত্বের একটি ফর্ম ৷ সেটা দেখিয়ে তিনি জানান, তা ফিল-আপ করলেই হবে ৷ আর কিছু লাগবে না। তৃণমূল ভুল বোঝাচ্ছে মানুষকে । শুভেন্দু দাবি করে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিমদের ভয় দেখাচ্ছেন। এই ফর্ম ফিলাপ করে একজনেরও যদি নাগরিকত্ব যায়, তাহলে আমি পদত্যাগ করব ৷" এরপর মুখ্যমন্ত্রীর দিকে প্রশ্নে ছুঁড়ে বলেন, "নাগরিকত্ব না গেলে আপনি পদত্যাগ করবেন তো ?"
লোকসভা প্রচারে এসে বিজেপির মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু জানান, কোন কাগজ লাগবে না। ফর্মের একটি কলামে রয়েছে সামাজিক সংস্থা ৷ অর্থাৎ উদাহরণ দিয়ে বলেন মন্দিরের পুরোহিতের কাছ থেকে একটি সার্টিফিকেট দিলেই আর কিচ্ছু লাগবে না । তাহলেই আপনি নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। আমরা সব করে দেব। তাহলে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে না আপনি বাংলাদেশী। চাকরির ক্ষেত্রে বা বিদেশে যাওয়ার সময় ভিসা লাগার জন্য নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় সেটা সমাধানের জন্যই প্রধানমন্ত্রীর এই নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "সম্পূর্ণ অপমানের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই এই লড়াই। পিআর ঠাকুরের নেতৃত্বে 1945 সাল থেকে যে লড়াই চলছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ নিয়েই বিশেষ করে মতুয়া, নমঃশূদ্র ও রাজবংশী সমাজ পরবর্তীকালে বাঙালি হিন্দুরা লড়াই করেছিলেন। সেই আইন কার্যকর করার মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদিজী, আমাদের স্বপ্নপূরণ করেছেন। আমরা আর শরণার্থী হয়ে থাকব না।" তাই মোদিজীকে না-ছাড়ার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
উল্লেখ্য, বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভায় সপ্তগ্রামের এক ব্যবসায়ী কেডি ওরফে কমল দাসের নাম তুলে অভিযোগ করেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "আপনি একটু কম লাফান । শাহাজাহানের পর আপনারা নাম তালিকায় এখন আছে। লাফালাফি একটু কম করুন ৷ এসব জিনিস বরদাস্ত করব না। আমরা মোদিজির সৈনিক ৷ আমরা দুর্নীতি করব না, করতেও দেব না ৷" প্রসঙ্গত, এই এলাকা থেকেই লকেটর বিপরীতে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ভোটের ময়দানে কার মুখে ফুটবে শেষ হাসি, তা জানা যাবে 4 জুন ৷
আরও পড়ুন
1. চার জেলায় নতুন জেলাশাসক নিয়োগ কমিশনের, শুরু প্রথম দফার ভোটের কাজও
2. বিশেষ পুলিশ অবজার্ভার নিয়োগ, রাজ্যপাল ইস্যুতে ধীরে চলো নীতি কমিশনের
3. মহুয়ার সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই, অবস্থান স্পষ্ট করলেন কৃষ্ণনগরের রানিমা