কলকাতা, 14 নভেম্বর: সাপের আতঙ্কে থরহরি কম্প কলকাতা পৌরনিগম ভবনে ৷ বুধবার সাপ দেখা গিয়েছিল কলকাতা পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের ঘরে ৷ আর বৃহস্পতিবার দেখা মিলল কাউন্সিলর ক্লাব রুমের বারান্দায় ৷
দু’দিনই অবশ্য চিড়িয়াখানা ও বন দফতর থেকে কর্মীরা এসেছিলেন সাপ ধরতে ৷ তবে দু’দিনই ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের ৷ ফলে আতঙ্ক কাটার বদলে আরও বেড়েছে ৷ যদিও বৃহস্পতিবার সাপের ছবি দেখে যদিও বিষহীন সাপ বলছেন চিড়িয়াখানার জু-কিপার সোমনাথ দেবনাথ ।
কিন্তু তা যদি না-হয়, সেই আতঙ্কই কাজ করছে পৌরসভার কর্মীদের মধ্যে । পৌরকর্মী মঞ্জু বিশ্বাস বলেন, ‘‘ভয়ে পা তুলে কাজ করছি । সব সময় আতঙ্ক কাজ করছে । ধরা না-পড়লে ভয়টা মনে গেঁথে থাকবে ।’’ আরেক কর্মী হরিশংকর রাম বলেন, ‘‘আতঙ্ক কত রয়েছে । যেকোনও জায়গায় দেখা যেতে পারে । আর সাপ দেখলে তো ভয় হবেই ।’’
কলকাতা পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদের দায়িত্বও সামলান ৷ এর জন্য যে ঘরটি বরাদ্দ রয়েছে, বুধবার সেই ঘরেই সাপ দেখা গিয়েছিল ৷ সেই পুরনো ঘর তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনও সাপ উদ্ধার করতে পারেননি বনদফতরের কর্মীরা । সেখানে তাঁরা কার্বলিক অ্যাসিড দিয়ে গিয়েছিলেন ।
বৃহস্পতিবার আর সেখানে সাপ দেখা যায়নি ৷ অতীন ঘোষের ঘরের কর্মরত কর্মী বাসু বলেন, ‘‘গতকাল সাপ দেখেছিলাম আজকে দেখতে পাইনি ।’’ এদিন সাপের দেখা মেলে কাউন্সিলর ক্লাব রুমের বারান্দায় । বুধবার সাপের ছবি তোলা না গেলেও বৃহস্পতিবার সেই সাপের ছবি সামনে এল । এই দুটো সাপ এক কি না, সেটা নিয়েও রয়েছে ধন্দ্ব ।
এদিনও হাজির হন চিড়িয়াখানা ও বন দফতরের কর্মীরা । তবে গতকালের মতো ব্যর্থ হয়েই ফিরতে হয় তাঁদের । ধরা যায়নি না কিছুতেই । অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টা উদ্বেগের । বহু পুরনো বাড়ি । বিপজ্জনক যদি সাপ ধরা না-পড়ে । কর্মীদের সারাদিন বসে কাজ করতে হয় । বনদফতর চেষ্টা করছে । আর খোঁজ করার দরকার আছে ।’’
উল্লেখ্য, 38 বছর কলকাতা পৌরসভায় চাকরি করেছেন বর্তমান রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় । মেয়রের ঘরের সামনে রাতের বেলা প্যাঁচার দর্শন পেয়েছেন । কিন্তু সাপ কখনও দেখেননি বলে জানান ৷ তবে শতবর্ষ প্রাচীন ঐতিহ্যপূর্ণ এই কর্পোরেশন বিল্ডিংয়ে ইঁদুরের আতঙ্ক নতুন নয় । নানা আকারের ও প্রকারের ইঁদুরের দেখা মিলেছে । এবার পরপর দু’দিন সাপের দেখা মেলায় আতঙ্ক কর্মীদের ।