সাগর, 26 মে: 'রেমাল' যে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে তা টের পাচ্ছেন সাগরের কাকদ্বীপ, মুড়িগঙ্গা, ধসপাড়া, সুমতিনগর, ফ্রেজারগঞ্জ ও নামখানা এলাকার স্থানীয়রা ৷ সমুদ্রের জলস্ফীতি জানান দিচ্ছে, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আর বেশি দূরে নেই। আজ, রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সংলগ্ন উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে রেমাল। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সোমবার এবং মঙ্গলবার লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ইতিমধ্য়েই সাগরের আশপাশের এলাকাগুলিতে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে ৷ সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট ৷
রবিবার সকাল থেকে উত্তাল বঙ্গোপসাগর ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। যার ফলে কাকদ্বীপ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত ভেসেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, নামখানাতেও ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে মাইকিং। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় রেমালের অবস্থান গঙ্গাসাগর থেকে 140 কিলোমিটার দূরে ৷ ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর উপকূলে বইতে শুরু করেছে 90-100 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ ঘোড়ামারা থেকে গ্রামবাসীদের সরিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে 'রেমাল', আতঙ্কের প্রমাদ গুনছে 'ভুক্তভোগী' হিঙ্গলগঞ্জ
দক্ষিণ 24 পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকার সকল প্রকার ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। দক্ষিণ 24 পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে 5 মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস। ব্লক প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বৈঠক করা হচ্ছে। ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। মাটির নদীবাঁধগুলিতে ইতিমধ্য়েই অস্থায়ীভাবে মেরামত শুরু হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলায় বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তিনটি দলকে পাঠানো হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে চোখ রাঙাচ্ছে 'রেমাল', ক্যানিং থেকে ব্যবধান 150 কিমি