কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি: দোরগোড়ায় সরস্বতী পুজো। বাসন্তী পঞ্চমীতে মেতে উঠতে প্রস্তুত স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা ৷ হলুদ বা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে অঞ্জলি দিয়ে স্কুলে স্কুলে গিয়ে প্রতিমা দর্শনের আনন্দই আলাদা ৷ এখন সরস্বতী পুজোতেও বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় থিমের বাহার ৷ প্রতিমার গড়নেও আসে ভিন্নতা ৷ তেমনই এবার সরস্বতী পুজোয় চমক দিতে চলেছেন রবীন্দ্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী স্বপন সরকার ৷ তাঁর বানানো বাগদেবীর মূর্তি দেখলে চমকে যেতে হয় ৷
রবীন্দ্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী স্বপন সরকার নিজের আঁকার স্কুলের সরস্বতী বন্দনার মূর্তি গড়েন নিজেই। শিল্পীর নিজের হাতে ঠাকুর গড়ার একটাই কারণ, আজকের ছেলেমেয়েদের এই ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা। তারাও যেন সারাক্ষণ গুগল, ইউটিউবে মুখ গুঁজে না থেকে শিল্পকর্মে মনোনিবেশ করে সেটাই শিল্পীর উদ্দেশ্য । তাঁর আঁকার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহী বলে জানান শিল্পী স্বপন সরকার । শিল্পকর্মের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই প্রতি বছর এহেন উদ্যোগ নেন রবীন্দ্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী স্বপন সরকার।
তিনি বলেন, "সাদার মধ্যে যে অনেক রঙ মিশে থাকে সেটা তুলে ধরার প্রচেষ্টা রয়েছে ৷ আশা করি ছেলে-মেয়েরা এই ধরনের কাজ দেখে উদ্বুদ্ধ হবে ৷ তারা ভাবতে শিখবে, কীভাবে এই ধরনের বাগদেবী তৈরি করা হল? এখনকার পড়ুয়ারা সোশাল মিডিয়ায় ডুবে রয়েছে ৷ তারা যে হাতের কাজ করবে, সেই ধৈর্য্যটা হারিয়েছে ৷ নতুনভাবে তৈরি করা এই সরস্বতী যে পড়ুয়াদের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করবে এটা আশা করতে পারি ৷"
উল্লেখ্য, গতবছর শিল্পী স্বপন সরকারের হাত দিয়ে আলপনায় সেজে উঠেছিল দেবী মূর্তি। এবার তাঁর দেবী আফ্রিকান ফোক শিল্পের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে। মূর্তি তৈরিতে উপকরণ হিসেবে রয়েছে শোলার থালা, কফির কাপ, মাস্ক টেপ। সরস্বতী ঠাকুর মানেই সাদা কিংবা বাসন্তী রঙ। তবে শিল্পীর বাগদেবীর রূপ মুগ্ধ করবে সকলকে, তা বলাই যায় ৷
আরও পড়ুন
2. ধ্বংসের মুখে মুর্শিদাবাদের সোনারুন্দি রাজবাড়ি, পর্যটন কেন্দ্র গড়ার দাবি ইতিহাসবিদদের
3. মুম্বইয়ের ধাঁচে রাজ্যে মহিলাদের জন্য ফার্স্ট ক্লাস লোকাল ট্রেন, মিলবে এই সুবিধাগুলি