ETV Bharat / state

সাদা কাগজে সই করিয়ে দায়ের হয়েছিল ধর্ষণের 'মিথ্যা অভিযোগ', দাবি আরও এক মহিলার - Sandeshkhali Viral Video

Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির ঘটনায় নতুন মোড়। আর তার জেরে আরও অস্বস্তিতে বিজেপি । এক মহিলার দাবি, তাঁকে না জানিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

Sandeshkhali
সন্দেশখালি (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 8, 2024, 11:10 PM IST

সন্দেশখালির ঘটনায় নয়া মোড় (ইটিভি ভারত)

সন্দেশখালি, 8 মে: সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়ো-কাণ্ড প্রকাশ‍্যে আসার পর থেকেই বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না। এবার ধর্ষণের 'মিথ্যা' অভিযোগ তোলা আরও এক মহিলার বিবৃতি প্রকাশ‍্যে আসায় চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। সেখানে তিনি দাবি করছেন, তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারপর ধর্ষণের 'মিথ্যা' অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে থানায়। মহিলার আরও দাবি, এক সপ্তাহ পর তিনি জানতে পারেন বিষয়টি। এরপর তিনি বিজেপির এক মহিলার কর্মীর কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর নেপথ্যে রয়েছেন মাম্পি দাস এবং পিয়ালি দাস।

এ নিয়ে অভিযোগকারী মহিলার বক্তব্য, তাঁকে ভোটের সময় রান্নার কাজ করানো হলেও সেই টাকা দেওয়া হয়নি। এমনকী তাঁর স্বামীর ১০০ দিনের কাজের জব কার্ডের টাকাও মেলেনি। সেটাই ছিল তাঁর অভিযোগ। অথচ, সেই অভিযোগ বদলে ধর্ষণের অভিযোগের রূপ দেওয়া হয়েছে তাঁকে না জানিয়ে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিয়ালি দাস। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি বলেন, 'সব অভিযোগ মিথ্যা। রেখা পাত্রর সঙ্গে থানায় গিয়ে উনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে হয়তো অন্য কারও চাপে উনি মামলা তুলে নিতে চান । তুলেও নেন । সাদা কাগজে সই করানোর যে কথা হচ্ছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। থানায় সিসিটিভি ফুটেজ আছে। সেটা দেখা হোক। শাসকদলের লোকেরা টাকা-পয়সার লোভ দেখিয়ে মহিলাদের দিয়ে এ সব বলিয়ে ভিডিয়ো ভাইরাল করছে। এ সবের কোনও সত্যতা নেই। তদন্ত হোক। যদি দোষী প্রমাণিত হই তাহলে আইন যা শাস্তি দেবে, তা মাথা পেতে নেব। আর যদি তা না হয় তাহলে কিন্তু আমি ওঁদের নামে মানহানির মামলা করব।" এনিয়ে অবশ্য মাম্পি দাসের কোনও বক্তব্য এখনও মেলেনি।

সন্দেশখালিতে স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। 32 মিনিট 42 সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োয় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। বসিরহাট আসনে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রও দু’হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ‘মিথ্যা’ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ওই নেতা। বিজেপি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ভিডিয়োকে সাজানো ও বিকৃত বলেছে। গঙ্গাধরও কণ্ঠস্বর বিকৃতির অভিযোগ তুলেছেন। তা নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই আরও এক মহিলা বিবৃতি দিয়ে দাবি করলেন,'ধর্ষণের শিকার' না হয়েও তাঁর নামে 'মিথ্যে' অভিযোগ করা হয়েছিল থানায়।

আরও পড়ুন:

  1. বিজেপি না-ছাড়ার শোধ নিচ্ছে তৃণমূল, সন্দেশখালি 'স্টিং অপারেশন' নিয়ে অভিযোগ গঙ্গাধরের স্ত্রীর
  2. 'সন্দেশখালি বিজেপি'র ভোটে জেতার ব্লু-প্রিন্ট', বীরভূম থেকে মোদি-শাহকে আক্রমণ মমতার

সন্দেশখালির ঘটনায় নয়া মোড় (ইটিভি ভারত)

সন্দেশখালি, 8 মে: সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়ো-কাণ্ড প্রকাশ‍্যে আসার পর থেকেই বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না। এবার ধর্ষণের 'মিথ্যা' অভিযোগ তোলা আরও এক মহিলার বিবৃতি প্রকাশ‍্যে আসায় চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। সেখানে তিনি দাবি করছেন, তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারপর ধর্ষণের 'মিথ্যা' অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে থানায়। মহিলার আরও দাবি, এক সপ্তাহ পর তিনি জানতে পারেন বিষয়টি। এরপর তিনি বিজেপির এক মহিলার কর্মীর কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর নেপথ্যে রয়েছেন মাম্পি দাস এবং পিয়ালি দাস।

এ নিয়ে অভিযোগকারী মহিলার বক্তব্য, তাঁকে ভোটের সময় রান্নার কাজ করানো হলেও সেই টাকা দেওয়া হয়নি। এমনকী তাঁর স্বামীর ১০০ দিনের কাজের জব কার্ডের টাকাও মেলেনি। সেটাই ছিল তাঁর অভিযোগ। অথচ, সেই অভিযোগ বদলে ধর্ষণের অভিযোগের রূপ দেওয়া হয়েছে তাঁকে না জানিয়ে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিয়ালি দাস। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি বলেন, 'সব অভিযোগ মিথ্যা। রেখা পাত্রর সঙ্গে থানায় গিয়ে উনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে হয়তো অন্য কারও চাপে উনি মামলা তুলে নিতে চান । তুলেও নেন । সাদা কাগজে সই করানোর যে কথা হচ্ছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। থানায় সিসিটিভি ফুটেজ আছে। সেটা দেখা হোক। শাসকদলের লোকেরা টাকা-পয়সার লোভ দেখিয়ে মহিলাদের দিয়ে এ সব বলিয়ে ভিডিয়ো ভাইরাল করছে। এ সবের কোনও সত্যতা নেই। তদন্ত হোক। যদি দোষী প্রমাণিত হই তাহলে আইন যা শাস্তি দেবে, তা মাথা পেতে নেব। আর যদি তা না হয় তাহলে কিন্তু আমি ওঁদের নামে মানহানির মামলা করব।" এনিয়ে অবশ্য মাম্পি দাসের কোনও বক্তব্য এখনও মেলেনি।

সন্দেশখালিতে স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। 32 মিনিট 42 সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োয় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। বসিরহাট আসনে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রও দু’হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ‘মিথ্যা’ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ওই নেতা। বিজেপি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ভিডিয়োকে সাজানো ও বিকৃত বলেছে। গঙ্গাধরও কণ্ঠস্বর বিকৃতির অভিযোগ তুলেছেন। তা নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই আরও এক মহিলা বিবৃতি দিয়ে দাবি করলেন,'ধর্ষণের শিকার' না হয়েও তাঁর নামে 'মিথ্যে' অভিযোগ করা হয়েছিল থানায়।

আরও পড়ুন:

  1. বিজেপি না-ছাড়ার শোধ নিচ্ছে তৃণমূল, সন্দেশখালি 'স্টিং অপারেশন' নিয়ে অভিযোগ গঙ্গাধরের স্ত্রীর
  2. 'সন্দেশখালি বিজেপি'র ভোটে জেতার ব্লু-প্রিন্ট', বীরভূম থেকে মোদি-শাহকে আক্রমণ মমতার
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.