কলকাতা, 18 জানুয়ারি: এফসি গোয়া ম্য়াচ খেলতে শুক্রবার বিকেলেই সৈকতরাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ৷ সেখানে পৌঁছনোর পর অনুশীলনেও নেমে পড়ে লাল-হলুদ। দলের সঙ্গে পুরোদমে গা ঘামান নবাগত বিদেশি রিচার্ড সেলিস। হেক্টর ইউস্তে, আনোয়ার আলি, সল ক্রেসপো, মহম্মদ রাকিপ চোটের কারণে দলের সঙ্গে যাননি। ইস্টবেঙ্গল সূত্রে খবর, হয়তো কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে খেলবেন ক্রেসপো। আনোয়ার আলির ফিরতে সময় লাগবে আরও।
আইএসএলে অস্কার ব্রুজোঁর প্রশিক্ষণাধীন ইস্টবেঙ্গল যখন গোয়ায় জয় খুঁজতে ব্যস্ত, তখন লাল-হলুদ তাঁবুতে সন্তোষ জয়ী বাংলা দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হল। গতবছর শেষদিনে দীর্ঘ আট বছরের খরা কাটিয়ে ভারতসেরা হয়েছিল বাংলা। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের তরফে কেবল দলের ফুটবলারদের নয়, সম্মানিত করা হল সাপোর্ট স্টাফ এবং কোচেস কমিটিকেও ৷ ফুল-মিষ্টি-উত্তরীয় এবং হাতঘড়ি তুলে দেওয়া হল সকলের হাতে।
সরকারি চাকরির শারীরিক পরীক্ষার কারণে অনুষ্ঠানে পৌঁছতে খানিক দেরি করেন ফুটবলাররা। ফলত নির্ধারিত সময়ের অনেকটা পরেই মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। কোচ সঞ্জয় সেন থেকে বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সকলেরই এক কথা যে; সংবর্ধনায় যেন ফুটবলারদের মাথা না-ঘুরে যায় ৷ ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, "দেশের সেরা কোচের নাম সঞ্জয় সেন। সংবর্ধনা পাওয়ার পর যেন ফুটবলাররা স্রোতে গা না-ভাসায়। তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য হোক ভারতের জার্সিতে খেলা।"
একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, "বাংলার কোচকে অনুরোধ করব ছেলেগুলো যাতে খেলার মধ্যে থাকে ৷ তার জন্য অন্তত দু’মাস বা একমাস অন্তর শিবির আয়োজন করতে বলব। রাজ্য সরকার সবরকম সাহায্য করবে।" বাংলাকে ফের ভারতসেরা করার জন্য কোচ সঞ্জয় সেনকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন সবাই। কিন্তু কৃতিত্বের জন্য রবি হাঁসদা, নরহরি শ্রেষ্ঠা, ইসরাফিল দেওয়ানদের এগিয়ে দিচ্ছেন হেডস্যর নিজে। তিনি বলেন, "সব কৃতিত্ব ছেলেদের। ওদের জন্যই আমি এখানে রয়েছি। আমাদের 18 দিনে আটটি ম্যাচ খেলতে হয়েছে। বাংলার হারানো সম্মান ওরা ফিরিয়েছে। লক্ষ্যচ্যুত হলে চলবে না ৷"