ETV Bharat / state

বেহাল রাস্তায় থমকে আদর্শ গ্রামের স্বপ্ন, কেমন আছে সুকান্তর দত্তক নেওয়া চকরাম ? - Lok Sabha Election 2024 - LOK SABHA ELECTION 2024

Sukanta Majumdar's adopted village: বালুরঘাটে সাংসদ হওয়ার পর ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার ৷ সেই গ্রামকে আদর্শ গ্রামে পরিণত করার স্বপ্ন কি আদেও সফল হয়েছে ? কেমন আছেন চকরামের বাসিন্দারা ? লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তারই খোঁজ নিল ইটিভি ভারত ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 27, 2024, 8:38 PM IST

সুকান্তর আদর্শ গ্রামে ইটিভি ভারত

হিলি, 27 মার্চ: এবারের লোকসভা নির্বাচনে নিশ্চিতভাবেই হাইপ্রোফাইল বালুরঘাট কেন্দ্র ৷ এই আসনে আরও একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন গতবারের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ দেখে নেওয়া যাক, নির্বাচিত হওয়ার পর সাংসদের দত্তক নেওয়া গ্রাম কেমন আছে ৷ গ্রামের বাসিন্দারা কী বলছেন ! কী বলছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা !

সাংসদ হওয়ার পর বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার ৷ মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই গ্রাম ৷ তবে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মানুষও গ্রামে বাস করেন ৷ সবাই মূলত কৃষিজীবী ৷ তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যাও বাড়ছে ৷ শহিদ চুড়কা মুর্মুর গ্রাম হিসাবে পরিচিত চকরাম ৷ যে চুড়কা নিজের জীবন দিয়ে খান সেনাদের হাত থেকে গ্রামকে বাঁচিয়েছিলেন ৷ বালক চুড়কার স্মৃতিতে আজও জন্ম ও প্রয়াণ দিবস পালন করা হয় ৷ শোনা যায়, চুড়কার জন্যই চকরাম গ্রামকে দত্তক নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন সাংসদ সুকান্ত ৷

তারপর চার বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে ৷ সাংসদের দত্তক নেওয়া গ্রামে বিদ্যুৎ, পানীয় কিংবা সেচের জল, নিকাশি, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার কথা তেমন শোনা যায় না ৷ কিন্তু সব উন্নতিই মুখ থুবড়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ৷ পিচের চাদর কবেই উঠেছে ৷ এখন রাস্তার দাঁত বের করা অবস্থা ৷ মোটর বাইক কিংবা অন্য যানবাহন দূরের কথা, সাইকেলের চাকা থেকেও পাথর ছিটকে আসে ৷ এভাবে কত মানুষ যে আহত হয়েছেন, কতবার যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার কোনও ইয়ত্তা নেই ৷ অথচ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য নিজের সাংসদ কোটা থেকে 50 লক্ষ টাকা বরাদ্দও করেছেন সুকান্ত ৷ জেলা প্রশাসনকে বারবার সেই কাজ শুরু করার জন্য নাকি তদ্বির করেছেন ৷ তবে কাজ হয়নি ৷ সম্প্রতি গ্রামবাসারী খড়ের তৈরি ‘রাস্তার মৃতদেহ’ তৈরি করে এই হতশ্রী রাস্তায় সৎকারও করেছেন ৷ দেখিয়েছেন প্রবল বিক্ষোভ ৷ খবর পেয়ে পুলিশ এসেছিল ৷ অনেক পুলিশকর্মীকেও স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে লজ্জায় পড়তে দেখা যায় ৷

গ্রামবাসী রাণু দেবনাথ বলছেন, “সাংসদ দত্তক নেওয়ার পর গ্রামের অবশ্যই উন্নতি হয়েছে ৷ তবে রাস্তা ঠিক হতে দিচ্ছে না বিরোধী দল ৷ আগে তো কিছুই ছিল না ৷ আরএসপি-র আমলে রাস্তা হয়েছিল ৷ তারপর আর রাস্তার সংস্কার হয়নি ৷ সাংসদ রাস্তা সংস্কারের জন্য টাকাও দিয়েছেন ৷ কিন্তু এরা সেই কাজ করছে না ৷ সুকান্তবাবু যদি আবারও সাংসদ নির্বাচিত হন, তবে তাঁর কাছে আরও জল, ড্রেন চাইব ৷”

কর্মসূত্রে রোজ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় রিক দে সরকারকে ৷ তিনি জানাচ্ছেন, “গ্রামের মূল সমস্যা রাস্তা ৷ এই রাস্তার জন্যই আমাদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ ৷ চলাচল করাই যায় না ৷ আমি এক বছর ধরে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছি ৷ রাতবিরেতে এই রাস্তা দিয়ে অসুস্থদের হাসপাতাল নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয় ৷ 10 মিনিটের রাস্তা পেরোতে আধঘণ্টা সময় লাগে ৷ আমারও দাবি, নতুন রাস্তা ৷”

গ্রামবাসী জয়দীপ সরকার বলেন, “দত্তক নেওয়ার পর সাংসদ আলোর ব্যবস্থা করেছেন ৷ জলেরও ব্যবস্থা হয়েছে ৷ ভালোই কাজ করেছেন ৷ শুধু রাস্তাটাই ঠিক হয়নি ৷ সাংসদ রাস্তার জন্য জেলা পরিষদকে টাকা দিয়েছেন বলে শুনেছি ৷ তারপরেও কেন রাস্তার কাজ হচ্ছে না জানি না ৷”

বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর দাবি, “সুকান্তদা দত্তক নেওয়ার পর চকরাম গ্রামে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে ৷ সুকান্তদা এই গ্রামকে দত্তক নেওয়ায় তৃণমূল চরম বিরোধিতা করেছে ৷ তিনি যেন সেখানে কোনও কাজ করতে না পারেন, তার সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে ৷ অনেক প্রতিকূলতা থাকা স্বত্তেও দাদা সেখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন ৷ জলের ব্যবস্থা হয়েছে ৷ দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের জন্য টিউশনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি ৷ গ্রামের রাস্তা ঠিক করার জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ কিন্তু বড় অংকের টাকা বরাদ্দ করা করলেও জেলা পরিষদ ইচ্ছাকৃতভাবে সেই কাজ করতে দিচ্ছে না ৷ এই রাস্তাটা ঠিক হলে আগামীতে চকরাম আদর্শ গ্রামে রূপান্তরিত হবে ৷”

আর স্বয়ং সুকান্তের বক্তব্য, “চকরাম গ্রামে রাস্তা তৈরির জন্য আমি 50 লক্ষ টাকা দিয়েছি ৷ দুর্ভাগ্যের বিষয়, ছ’মাস হতে চললেও এরা ওয়ার্ক অর্ডার দিচ্ছে না ৷ এরপর হয়তো প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যাবে ৷ মানুষের উন্নয়নের সঙ্গে এদের কোনও যোগাযোগ নেই ৷ এরা একটাই জানে, কীভাবে লুট করে ভোটে জিততে হবে ৷ ভোটের পর নিজের পরিবারকে মালামাল বানাও ৷”

তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলছেন, “সাংসদ সুকান্ত মজুমদার তেমন কোনও কাজ সেভাবে করেননি । দুই-একটি লাইট ছাড়া কোনও কিছুই চোখে পড়ে না । তেমনভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় উন্নয়ন করতে পারেনি । সাংসদ হিসেবে তিনি সম্পূর্ণভাবেই ব্যর্থ । সাংসদের করা তেমন কিছু চোখে পড়ছে না । আমি গত কয়েক মাস থেকে জেলা পরিষদের সদস্য রয়েছি ৷ তবে আমার জানা নেই যে তিনি জেলার জন্য কোনও কাজ করেছেন । সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রামে আমরা রাস্তার কাজের জন্য অনেকটা এগিয়েছিলাম ৷ কিন্তু কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি । আমরা খুব তাড়াতাড়ি সেই দত্তক গ্রামের রাস্তা করে দেওয়ার চেষ্টা করছি ।"

আরও পড়ুন:

  1. আদর্শ গ্রামের স্বপ্ন অধরা ! 'দত্তক নিয়েও কিছুই করেননি বিজেপি সাংসদ', কাঠগড়ায় শাসকদল ?
  2. প্রসূনের খারাপ পারফরম্যান্সের কথা ওঁর দলই বলছে, বাবুনের মন্তব্য টেনে কটাক্ষ সিপিএম প্রার্থীর
  3. 'কঠিন নয়, যাদবপুরের লড়াই মর্যাদার'; প্রচারে সফরসঙ্গী ইটিভি ভারতকে বললেন সায়নী

সুকান্তর আদর্শ গ্রামে ইটিভি ভারত

হিলি, 27 মার্চ: এবারের লোকসভা নির্বাচনে নিশ্চিতভাবেই হাইপ্রোফাইল বালুরঘাট কেন্দ্র ৷ এই আসনে আরও একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন গতবারের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ দেখে নেওয়া যাক, নির্বাচিত হওয়ার পর সাংসদের দত্তক নেওয়া গ্রাম কেমন আছে ৷ গ্রামের বাসিন্দারা কী বলছেন ! কী বলছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা !

সাংসদ হওয়ার পর বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার ৷ মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই গ্রাম ৷ তবে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মানুষও গ্রামে বাস করেন ৷ সবাই মূলত কৃষিজীবী ৷ তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যাও বাড়ছে ৷ শহিদ চুড়কা মুর্মুর গ্রাম হিসাবে পরিচিত চকরাম ৷ যে চুড়কা নিজের জীবন দিয়ে খান সেনাদের হাত থেকে গ্রামকে বাঁচিয়েছিলেন ৷ বালক চুড়কার স্মৃতিতে আজও জন্ম ও প্রয়াণ দিবস পালন করা হয় ৷ শোনা যায়, চুড়কার জন্যই চকরাম গ্রামকে দত্তক নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন সাংসদ সুকান্ত ৷

তারপর চার বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে ৷ সাংসদের দত্তক নেওয়া গ্রামে বিদ্যুৎ, পানীয় কিংবা সেচের জল, নিকাশি, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার কথা তেমন শোনা যায় না ৷ কিন্তু সব উন্নতিই মুখ থুবড়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ৷ পিচের চাদর কবেই উঠেছে ৷ এখন রাস্তার দাঁত বের করা অবস্থা ৷ মোটর বাইক কিংবা অন্য যানবাহন দূরের কথা, সাইকেলের চাকা থেকেও পাথর ছিটকে আসে ৷ এভাবে কত মানুষ যে আহত হয়েছেন, কতবার যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার কোনও ইয়ত্তা নেই ৷ অথচ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য নিজের সাংসদ কোটা থেকে 50 লক্ষ টাকা বরাদ্দও করেছেন সুকান্ত ৷ জেলা প্রশাসনকে বারবার সেই কাজ শুরু করার জন্য নাকি তদ্বির করেছেন ৷ তবে কাজ হয়নি ৷ সম্প্রতি গ্রামবাসারী খড়ের তৈরি ‘রাস্তার মৃতদেহ’ তৈরি করে এই হতশ্রী রাস্তায় সৎকারও করেছেন ৷ দেখিয়েছেন প্রবল বিক্ষোভ ৷ খবর পেয়ে পুলিশ এসেছিল ৷ অনেক পুলিশকর্মীকেও স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে লজ্জায় পড়তে দেখা যায় ৷

গ্রামবাসী রাণু দেবনাথ বলছেন, “সাংসদ দত্তক নেওয়ার পর গ্রামের অবশ্যই উন্নতি হয়েছে ৷ তবে রাস্তা ঠিক হতে দিচ্ছে না বিরোধী দল ৷ আগে তো কিছুই ছিল না ৷ আরএসপি-র আমলে রাস্তা হয়েছিল ৷ তারপর আর রাস্তার সংস্কার হয়নি ৷ সাংসদ রাস্তা সংস্কারের জন্য টাকাও দিয়েছেন ৷ কিন্তু এরা সেই কাজ করছে না ৷ সুকান্তবাবু যদি আবারও সাংসদ নির্বাচিত হন, তবে তাঁর কাছে আরও জল, ড্রেন চাইব ৷”

কর্মসূত্রে রোজ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় রিক দে সরকারকে ৷ তিনি জানাচ্ছেন, “গ্রামের মূল সমস্যা রাস্তা ৷ এই রাস্তার জন্যই আমাদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ ৷ চলাচল করাই যায় না ৷ আমি এক বছর ধরে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছি ৷ রাতবিরেতে এই রাস্তা দিয়ে অসুস্থদের হাসপাতাল নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয় ৷ 10 মিনিটের রাস্তা পেরোতে আধঘণ্টা সময় লাগে ৷ আমারও দাবি, নতুন রাস্তা ৷”

গ্রামবাসী জয়দীপ সরকার বলেন, “দত্তক নেওয়ার পর সাংসদ আলোর ব্যবস্থা করেছেন ৷ জলেরও ব্যবস্থা হয়েছে ৷ ভালোই কাজ করেছেন ৷ শুধু রাস্তাটাই ঠিক হয়নি ৷ সাংসদ রাস্তার জন্য জেলা পরিষদকে টাকা দিয়েছেন বলে শুনেছি ৷ তারপরেও কেন রাস্তার কাজ হচ্ছে না জানি না ৷”

বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর দাবি, “সুকান্তদা দত্তক নেওয়ার পর চকরাম গ্রামে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে ৷ সুকান্তদা এই গ্রামকে দত্তক নেওয়ায় তৃণমূল চরম বিরোধিতা করেছে ৷ তিনি যেন সেখানে কোনও কাজ করতে না পারেন, তার সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে ৷ অনেক প্রতিকূলতা থাকা স্বত্তেও দাদা সেখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন ৷ জলের ব্যবস্থা হয়েছে ৷ দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের জন্য টিউশনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি ৷ গ্রামের রাস্তা ঠিক করার জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ কিন্তু বড় অংকের টাকা বরাদ্দ করা করলেও জেলা পরিষদ ইচ্ছাকৃতভাবে সেই কাজ করতে দিচ্ছে না ৷ এই রাস্তাটা ঠিক হলে আগামীতে চকরাম আদর্শ গ্রামে রূপান্তরিত হবে ৷”

আর স্বয়ং সুকান্তের বক্তব্য, “চকরাম গ্রামে রাস্তা তৈরির জন্য আমি 50 লক্ষ টাকা দিয়েছি ৷ দুর্ভাগ্যের বিষয়, ছ’মাস হতে চললেও এরা ওয়ার্ক অর্ডার দিচ্ছে না ৷ এরপর হয়তো প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যাবে ৷ মানুষের উন্নয়নের সঙ্গে এদের কোনও যোগাযোগ নেই ৷ এরা একটাই জানে, কীভাবে লুট করে ভোটে জিততে হবে ৷ ভোটের পর নিজের পরিবারকে মালামাল বানাও ৷”

তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলছেন, “সাংসদ সুকান্ত মজুমদার তেমন কোনও কাজ সেভাবে করেননি । দুই-একটি লাইট ছাড়া কোনও কিছুই চোখে পড়ে না । তেমনভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় উন্নয়ন করতে পারেনি । সাংসদ হিসেবে তিনি সম্পূর্ণভাবেই ব্যর্থ । সাংসদের করা তেমন কিছু চোখে পড়ছে না । আমি গত কয়েক মাস থেকে জেলা পরিষদের সদস্য রয়েছি ৷ তবে আমার জানা নেই যে তিনি জেলার জন্য কোনও কাজ করেছেন । সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রামে আমরা রাস্তার কাজের জন্য অনেকটা এগিয়েছিলাম ৷ কিন্তু কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি । আমরা খুব তাড়াতাড়ি সেই দত্তক গ্রামের রাস্তা করে দেওয়ার চেষ্টা করছি ।"

আরও পড়ুন:

  1. আদর্শ গ্রামের স্বপ্ন অধরা ! 'দত্তক নিয়েও কিছুই করেননি বিজেপি সাংসদ', কাঠগড়ায় শাসকদল ?
  2. প্রসূনের খারাপ পারফরম্যান্সের কথা ওঁর দলই বলছে, বাবুনের মন্তব্য টেনে কটাক্ষ সিপিএম প্রার্থীর
  3. 'কঠিন নয়, যাদবপুরের লড়াই মর্যাদার'; প্রচারে সফরসঙ্গী ইটিভি ভারতকে বললেন সায়নী
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.