কলকাতা, 11 জানুয়ারি: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার কারণে প্রসূতির মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে, সেখান থেকেই কার্যত শিক্ষা নিয়ে একাধিক ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
আরজি কর হাসপাতালের 10টি ওষুধ বন্ধের নির্দেশিকা জারি করল কর্তৃপক্ষ । নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সমস্ত ওষুধ ওটি, জরুরি বিভাগে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেইগুলো ইতিমধ্যেই বন্ধ করতে হবে । এই তালিকায় নাম রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ব্যবহার করা ওই বিষাক্ত স্যালাইনেরও । যেটা ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ থাকলেও এতদিন আরজি করের প্রসূতি বিভাগে ব্যবহার করা হয়েছে ।
অভিযোগ, শুধু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ অথবা আরজি কর নয় । ওই বিষাক্ত স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে কলকাতার বহু সরকারি হাসপাতালেও । কলকাতার প্রথমসারির হাসপাতাল এসএসকেএম এবং ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজেও ওই বিষাক্ত স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে ।
অথচ এই স্যালাইন ব্যবহারের জন্য নভেম্বর মাসেই ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে নিষেধাজ্ঞা করে দেওয়া হয়েছিল । নভেম্বর মাস নাগাদ বেশ কয়েকটি ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করে ওয়েস্ট বেঙ্গল ড্রাগ ডিরেক্টরেট । এই পরীক্ষার ভিত্তিতে তারা বার্তা পাঠায় সেন্ট্রাল ড্রাগ ডিরেক্টরেটকে । সেন্ট্রাল ড্রাগ ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে বার্তা পাঠানো হয়েছে । সেখানে দেখা গিয়েছে 44টি ওষুধ নিম্নমানের । যা একদম ব্যবহার করা উচিত নয় ।
এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, "খুব দুঃখজনক । কেন এই কাজ করছে জানি না । কার স্বার্থ আছে এর পিছনে জানি না । চিকিৎসাবিজ্ঞানের যাবতীয় দায়ভার যখন চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর উপর বর্তায়, তখন মানুষ তো তাঁদের ভুল বুঝবে । কিন্তু গোড়ায় গলদ। ড্রাগ কন্ট্রোল অফিস যদি জেগে ঘুমায়, তাহলে কিছু করার নেই ।"
এদিকে এই বিষয়ে কড়া নজরদারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন । অবিলম্বে এই সমস্ত ওষুধ বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভাবনের তরফে ৷