ETV Bharat / state

পরিচয় গোপন রাখতে ট্রেনের বদলে বাসই ভরসা জঙ্গিদের, এনআইএ-র নজরে বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা - Rameshwaram Cafe Blast

Rameshwaram Cafe Blast: কাঁথিতে গ্রেফতার হয়েছে বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণে জড়িত দুই জঙ্গি ৷ সেই নিয়ে তদন্তে এনআইএ জানতে পেরেছে ধৃত দুই জঙ্গি কলকাতা থেকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে দূরপাল্লার বাস পরিষেবা ব্যবহার করেছিল ৷ মূলত, পরিচয় গোপন রাখতেই তারা এই কৌশল নেয় ৷

NIA
NIA
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 15, 2024, 12:55 PM IST

কলকাতা, 15 এপ্রিল: দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটতে প্রয়োজন পড়ে পরিচয়ত্রের ৷ কিন্তু দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র না থাকলেও মেলে টিকিট ৷ সেই কারণেই ট্রেনের বদলে বাসযাত্রাকেই নিরাপদ মনে করেছিল দুই জঙ্গি ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাসেই ঘোরাঘুরি করেছে বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই অভিযুক্ত ৷ এনআইএ-র সূত্র থেকে তেমনই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে ধর্মতলার একটি নামী বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা এখন এনআইএ-র তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে ৷

গত 1 মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ৷ সেই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন শাজিব পশ্চিমবঙ্গে এসে আত্মগোপন করেছিল ৷ কলকাতা ও বাংলার বিভিন্ন স্থানে তারা পরিচয় লুকিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে ৷ ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি সূত্রের খবর, তারা মূলত পর্যটকের ছদ্মবেশে ঘুরেছে বিভিন্ন জায়গায়৷ কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় তারা থেকেছে ৷ আবার উত্তরবঙ্গ, পুরুলিয়া, কাঁথির মতো জায়গায় গিয়েছে ৷

এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ হোক বা অন্য কোনও জায়গা, তারা দূরপাল্লার বাসেই যাতায়াত করেছে ৷ ট্রেন তারা একেবারেই ব্যবহার করেনি ৷ কারণ, দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট সংরক্ষণ বা টিকিট কাটার জন্য প্রয়োজন পড়ে বিভিন্ন পরিচয় পত্র বা আইডি-র । কিন্তু দূরপাল্লার বাসের টিকিট কাটার জন্য কোনও আইডি-র প্রয়োজন পড়ে না । ফলে সে ক্ষেত্রে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিরাপদে পাড়ি দেওয়াও সম্ভব হয় । এছাড়াও নিজের পরিচয়ও প্রকাশ পায় না । তার জন্যই জঙ্গিরা দূরপাল্লার ট্রেনের বদলে বেছে নিয়েছিল দূরপাল্লার বাস পরিষেবাকে ।

কলকাতার ধর্মতলা থেকে একটি বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার বাসে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিল ত্বহা ও শাজিব ৷ আপাতত ওই বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা এনআইএ-র তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে ৷ সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে ৷ বাসে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে, তার ফুটেজও দেখা হবে ৷ সেই সময় ওই দুই জঙ্গির সঙ্গে আর কেউ ছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখতে চায় এনআইএ ৷

বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণের ঘটনায় মুজ়াম্মিল শরিফ নামে একজন আগেই গ্রেফতার করে এনআইএ ৷ তাকে চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ ওই শরিফও বাংলায় এসেছিল ৷ মূলত, ত্বহা ও শাজিবকে টাকা দিতেই সে কলকাতায় আসে ৷ তার পরই চেন্নাইতে সে গ্রেফতার হয় ৷ তাকে জেরা করেই ত্বহা ও শাজিবের বিষয়ে জানতে পারেন তদন্তকারীরা ৷ তার পরই এই দু’জনের খোঁজ শুরু হয় ৷ শেষে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় ৷

তদন্তকারীদের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ত্বহা ও শাজিব, দু’জনেই আইএস-এর ‘আল হিন্দ’ মডিউলের সদস্য । সন্দেহ করা হচ্ছে যে সীমান্ত টপকে বাংলাদেশ পালানোর ছক ছিল ত্বহা ও শাজিবের । তাই তারা বাংলায় আত্মগোপন করেছিল ৷ তাই তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন বাংলাদেশে পালানোর জন্য কার সাহায্য নিত তারা ! তদন্তকারীদের প্রশ্ন, আইএস-এর ‘আল হিন্দ’ মডিউলের কোনও গোষ্ঠী কি বাংলায় সক্রিয় ? এই প্রশ্নের উত্তরই আপাতত খুঁজছে এনআইএ ৷

আরও পড়ুন:

  1. রাজ্যে গজিয়ে উঠেছে আল হিন্দ মডিউলের স্লিপার সেল! ধন্দে গোয়েন্দারা
  2. হোটেল থেকে চাঁদনি চকে অবাধ বিচরণ! প্রকাশ্যে দুই সন্দেহভাজনের সিসিটিভি ফুটেজ
  3. রাত কাটিয়ে টাকা না দিয়ে পালায় ক্যাফে বিস্ফোরণে ধৃতরা, প্রকাশ্যে নয়া তথ্য

কলকাতা, 15 এপ্রিল: দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটতে প্রয়োজন পড়ে পরিচয়ত্রের ৷ কিন্তু দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র না থাকলেও মেলে টিকিট ৷ সেই কারণেই ট্রেনের বদলে বাসযাত্রাকেই নিরাপদ মনে করেছিল দুই জঙ্গি ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাসেই ঘোরাঘুরি করেছে বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই অভিযুক্ত ৷ এনআইএ-র সূত্র থেকে তেমনই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে ধর্মতলার একটি নামী বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা এখন এনআইএ-র তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে ৷

গত 1 মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ৷ সেই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন শাজিব পশ্চিমবঙ্গে এসে আত্মগোপন করেছিল ৷ কলকাতা ও বাংলার বিভিন্ন স্থানে তারা পরিচয় লুকিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে ৷ ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি সূত্রের খবর, তারা মূলত পর্যটকের ছদ্মবেশে ঘুরেছে বিভিন্ন জায়গায়৷ কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় তারা থেকেছে ৷ আবার উত্তরবঙ্গ, পুরুলিয়া, কাঁথির মতো জায়গায় গিয়েছে ৷

এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ হোক বা অন্য কোনও জায়গা, তারা দূরপাল্লার বাসেই যাতায়াত করেছে ৷ ট্রেন তারা একেবারেই ব্যবহার করেনি ৷ কারণ, দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট সংরক্ষণ বা টিকিট কাটার জন্য প্রয়োজন পড়ে বিভিন্ন পরিচয় পত্র বা আইডি-র । কিন্তু দূরপাল্লার বাসের টিকিট কাটার জন্য কোনও আইডি-র প্রয়োজন পড়ে না । ফলে সে ক্ষেত্রে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিরাপদে পাড়ি দেওয়াও সম্ভব হয় । এছাড়াও নিজের পরিচয়ও প্রকাশ পায় না । তার জন্যই জঙ্গিরা দূরপাল্লার ট্রেনের বদলে বেছে নিয়েছিল দূরপাল্লার বাস পরিষেবাকে ।

কলকাতার ধর্মতলা থেকে একটি বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার বাসে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিল ত্বহা ও শাজিব ৷ আপাতত ওই বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা এনআইএ-র তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে ৷ সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে ৷ বাসে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে, তার ফুটেজও দেখা হবে ৷ সেই সময় ওই দুই জঙ্গির সঙ্গে আর কেউ ছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখতে চায় এনআইএ ৷

বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণের ঘটনায় মুজ়াম্মিল শরিফ নামে একজন আগেই গ্রেফতার করে এনআইএ ৷ তাকে চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ ওই শরিফও বাংলায় এসেছিল ৷ মূলত, ত্বহা ও শাজিবকে টাকা দিতেই সে কলকাতায় আসে ৷ তার পরই চেন্নাইতে সে গ্রেফতার হয় ৷ তাকে জেরা করেই ত্বহা ও শাজিবের বিষয়ে জানতে পারেন তদন্তকারীরা ৷ তার পরই এই দু’জনের খোঁজ শুরু হয় ৷ শেষে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় ৷

তদন্তকারীদের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ত্বহা ও শাজিব, দু’জনেই আইএস-এর ‘আল হিন্দ’ মডিউলের সদস্য । সন্দেহ করা হচ্ছে যে সীমান্ত টপকে বাংলাদেশ পালানোর ছক ছিল ত্বহা ও শাজিবের । তাই তারা বাংলায় আত্মগোপন করেছিল ৷ তাই তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন বাংলাদেশে পালানোর জন্য কার সাহায্য নিত তারা ! তদন্তকারীদের প্রশ্ন, আইএস-এর ‘আল হিন্দ’ মডিউলের কোনও গোষ্ঠী কি বাংলায় সক্রিয় ? এই প্রশ্নের উত্তরই আপাতত খুঁজছে এনআইএ ৷

আরও পড়ুন:

  1. রাজ্যে গজিয়ে উঠেছে আল হিন্দ মডিউলের স্লিপার সেল! ধন্দে গোয়েন্দারা
  2. হোটেল থেকে চাঁদনি চকে অবাধ বিচরণ! প্রকাশ্যে দুই সন্দেহভাজনের সিসিটিভি ফুটেজ
  3. রাত কাটিয়ে টাকা না দিয়ে পালায় ক্যাফে বিস্ফোরণে ধৃতরা, প্রকাশ্যে নয়া তথ্য
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.