কলকাতা, 27 ডিসেম্বর: আগামী 11 জানুয়ারি আইএসএলের ফিরতি ডার্বি আয়োজন ঘিরে জটিলতা। হঠাৎ করেই সংশয়ের কালো মেঘ। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি পরস্পরের মুখোমুখি হওয়ার কথা ফিরতি ডার্বিতে। কিন্তু ওই সময় গঙ্গাসাগর মেলা। আর তাই ডার্বির নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ কর্মী থাকবেন কি না তা নিয়ে আশঙ্কা।
যদিও এ ব্যাপারে কোনও চিঠি সুপার জায়ান্ট দফতরে এসে পৌঁছয়নি। ফলে ডার্বি আয়োজনে জটিলতা তৈরি হয়েছে সেকথা তারা বলছে না। আগামী 2 জানুয়ারি এবং 11 জানুয়ারি ম্যাচের আয়োজনর জন্য পুলিশি অনুমতি চেয়েছিল সুপার জায়ান্ট কর্তৃপক্ষ। 2 জানুয়ারি হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সেই ম্যাচের ব্যাপারে সবুজ সংকেত চলে এসেছে।
কিন্তু ডার্বি আয়োজনে 1200 পুলিশ দরকার হয়। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট মূল দায়িত্বে থাকলেও দুই 24 পরগনার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের একাংশ নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানোর কাজে থাকে।
কিন্তু গঙ্গাসাগরের মেলায় পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দরকার। যার জোগান কেবলমাত্র দক্ষিণ 24 পরগরগনার পুলিশ কমিশনারেট করে উঠতে পারে না। ফলে পার্শ্ববর্তী জেলা উত্তর 24 পরগনা, হাওড়া, দুই মেদিনীপুর থেকেও পুলিশ কর্মীরা মেলায় নিরাপত্তা দিতে যান।
5 থেকে 6 হাজার পুলিশ গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তায় থাকেন। তবে সরকারিভাবে ডার্বির নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের অপ্রতুলতার চিঠি সুপার জায়ান্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আসেনি। কিন্তু সুপার জায়ান্ট সূত্র বলছে, পুলিশের অভাবে ম্যাচ আয়োজন যে কঠিন তার বার্তা মৌখিকভাবে চলে এসেছে। সরকারিভাবে পুলিশ না-পাওয়ার কথা না-জানতে পারায় আইএসএল কর্তৃপক্ষকেও আয়োজক সুপার জায়ান্ট বলতে পারছে না। ডার্বি আয়োজনে তাই সংশয়ের মেঘ জমতে শুরু করেছে।
এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট শীর্ষে রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলও প্রথম ছয়ে ঢুকে পড়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছে। পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান ডার্বির উন্মাদনায় প্রভাব ফেলে না। তবে পুলিশের অপ্রতুলতা ডার্বির সম্ভবনায় প্রভাব ফেলতে পারে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, ডার্বি আয়োজনে নিরাপত্তার জটিলতা নতুন নয়। তবে তা সামলে ডার্বি হয়েছে। চলতি আইএসএলে আরজি কর আন্দোলনের প্রভাবে ডার্বি পিছিয়ে গিয়েছিল।