বাঁকিবাঁধ, 29 নভেম্বর: আবার কাঠগড়ায় শাসকদল ! এবার পঞ্চায়েত প্রধান খোদ নিজের দফতরে বসে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চায়েতে নিজের ঘরে বসেই টাকা নিচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধান। সেই ভাইরাল ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত) প্রকাশ্যে আসতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা।
এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। ঘটনা সত্য হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি জেলা তৃণমূল সভাপতির। খোদ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আর সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে আসতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা ৷ মূলত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বারেবারে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের টাকা নেওয়ার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই শাসক দলকে কড়া আক্রমণ বিজেপি'র। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, শালবনি ব্লকের চার নম্বর বাঁকিবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধনঞ্জয় মাহাতোর হাতে টাকা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি।
সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, যে কাজটা হয়ে গেলে বাকি টাকা তাঁর (পঞ্চায়েত প্রধান) চাহিদা মত মিটিয়ে দেওয়া হবে। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। যদিও চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করেছে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান। অন্যদিকে, এই নিয়ে সরব হয়েছে প্রধান বিরোধী বিজেপি। যদিও শাসক দলের জেলা সভাপতির বক্তব্য, ভিডিয়োর সত্যতা থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশাসনিক ও দলীয়ভাবে।
যদিও এ বিষয়ে ওই পঞ্চায়েত প্রধান ধনঞ্জয় মাহাতো উল্টো সুর গেয়েছেন। তিনি বলেন, "যে টাকাটা নেওয়া হচ্ছে সেটা অফ লাইনের টাকা। ওর কাছে আমি টাকা পেতাম ৷ সেটাই উনি শোধ করছেন। এটা চক্রান্ত করে ভিডিয়োটা তৈরি করা হয়েছে। এই চক্রান্ত করেছে কয়েকজন মানুষ। আমি টেবিলে বসে যে টাকাটা নিয়েছি, ওটা ওনাকে ধার দিয়েছিলাম ৷ উনি শোধ করছেন।" এ বিষয়ে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, "আমরা বহুবার এর আগে বলেছি যে তৃণমূল দলটাই চলছে কাটমানির উপর। এই ভিডিয়োতেই কাটমানি নেওয়ার প্রমাণ মিলছে। তৃণমূলের সংস্কৃতি তারা কাটমানি ছাড়া এগোয় না। এখানেও সেই সংস্কৃতিই দেখা গিয়েছে। বাঁকিবাঁধের মানুষ বিচার করুক, তাঁরা কাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে।"
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে অস্বস্তিতে শাসকদল। মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন, "ভিডিয়োটা দেখলাম আপনাদের কাছেই। তাঁকে দলের তরফে পুরো বিষয় জানতে চাওয়া হবে। এই ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে দলীয় এবং প্রশাসনিক স্তরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"