দার্জিলিং, 12 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডের পর রাজ্যের প্রত্যেকটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলার পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের। কিন্তু এবার নিরাপত্তার খামতি নিয়ে খোদ প্রশ্ন তুললেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও উদাসীন আচরণের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাতে বাদ যায়নি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও। হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য কয়েক বছর আগে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের মাটিগাড়া থানার অধীন মেডিক্যাল ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। কিন্তু সেখানে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা সীমিত থাকায় হাসপাতাল চত্ত্বরে মাঝেমধ্যেই নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় ৷
আরজি করের পর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকও হয়েছে। যেখানে কমিশনারেটকে হাসপাতালের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, যে পরিমাণ পুলিশ কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা এখনও করেনি কমিশনারেট। বর্তমানে, 80 জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী ও তিনজন সুপারভাইজার হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। যাঁরা তিনটে শিফটে নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন। কর্তৃপক্ষের তরফে জরুরি বিভাগে দু'জন, মহিলা হস্টেলগুলোতে দু'জন করে ও হস্টেলে পুলিশ মোতায়েনের আবেদন জানানো হয়েছিল।
পাশাপাশি হাসপাতাল চত্ত্বরে টহলদারি বাড়ানোরও আবেদন করা হয়েছিল। এই বিষয়ে হাসপাতালের সুপার তথা মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল সঞ্জয় মল্লিক বলেন, "হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পুলিশকে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা এখনও বাড়ানো হয়নি। নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।" শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, "মেডিক্যালের নিরাপত্তা পুলিশ দিচ্ছে। যদি আরও কিছুর প্রয়োজন হয় তা করা হবে।"