রেজিনগর, 31 মার্চ: লোকসভা ভোটের হাওয়ায় মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য নিয়ে তরজায় জড়াল শাসক ও বিরোধী শিবির ৷ বিরোধীদের অভিযোগ, মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে কৃষি জমির চরিত্র বদল হয়ে যাচ্ছে রেজিনগরে । রাতারাতি দু'ফসলি থেকে তিন ফসলি জমি পুকুরে পরিণত হচ্ছে । থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবাধে ট্রাক্টরে করে মাটি লুট চলছে ৷ এসব দেখেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে প্রশাসনের দিকেই বল ঠেলে দিয়েছে শাসকদলের স্থানীয় নেতারা।
বিরোধী শিবিরের দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরও ভূমি সংস্কার দফতর মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি। এর পিছনে শাসকদল তৃণমূলের প্রভাবশালীদের মদত রয়েছে। অভিযোগ, বেলডাঙা-2 ব্লকের রেজিনগর থানা থেকে মাত্র দু'কিমি দূরত্বে অবাধে লুট হচ্ছে মাটি। প্রথমে ভোরে ও গভীর রাতে মাটি কাটা হত। এখন দিনের বেলায় সবার সামনে দিয়ে মাটি মাফিয়ারা ট্রাক্টর করে মাটি লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। অবাধে মাটি কাটার ফলে বিঘার পর বিঘা জমি কার্যত পুকুরে পরিণত হয়ে গিয়েছে । কৃষি জমির চরিত্র হারাচ্ছে ।
স্থানীয়দের দাবি, মাটি মাফিয়াদের ভয়ে জমি মালিকেরা মুখ খুলতে পারছে না। এই ঘটনাকে সামনে এনে মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পুলিশ ও ভূমি সংস্কার দফতরে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। বেলডাঙা-2 ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মিন্টু সিং বলেন, "এর পিছনে প্রভাবশালীদের মদত রয়েছে । শাসকদলের প্রভাবশালীদের আড়াল করতেই প্রশাসন অভিযোগ পাওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি । এ দিকে প্রতিদিন কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে । এর ফলে এলাকায় একসময় খাদ্যাভাব দেখা দেবে ।"
বেলডাঙা-2 ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আতাউর রহমান বর্তমান ব্লক সভাপতি মঞ্জুর শেখকে পাশে বসিয়ে বলেন, "মাটি চুরি হলে সেই বিষয় প্রশাসনের দেখার কথা। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয় । স্থানীয় ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটি কাটার জন্য ভূমি সংস্কার দফতর রয়্যালটি পায় না। পুকুর খননের জন্যও কেউ অনুমোদন নেয়নি । বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।"
আরও পড়ুন: