ETV Bharat / state

পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সাংঘাতিক ফন্দি ভিন রাজ্যের অস্ত্র কারবারিদের ! সতর্ক করলেন সিপি - LLEGAL FIREARMS DEAL IN KOLKATA

কলকাতা পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে বিশেষ ক্রাইম মিটিং নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মার ৷ তিনি জানান, কলকাতায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির মেশিন আনছে কারবারিরা ৷

LLEGAL FIREARMS DEAL IN KOLKATA
বেআইনি অস্ত্রকারবার রুখতে বিশেষ নির্দেশ নগরপাল মনোজ ভার্মার ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 13, 2024, 2:50 PM IST

কলকাতা, 13 নভেম্বর: কলকাতা তথা শহরতলিতে এবার অভিনব কায়দায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার শুরুর পরিকল্পনা অপরাধীদের ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, এসটিএফের সঙ্গে ক্রাইম মিটিংয়ে তেমনটাই জানিয়েছেন নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা ৷ আর এর পিছনে রয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বেআইনি অস্ত্রকারবারিরা ৷

বিহারের মুঙ্গেরের উপর বিশেষভাবে নজরদারি ও তার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এ রাজ্যের বেআইনি অস্ত্রের ব্যবসা বন্ধ করতে অনেকটাই সফল হয়েছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ৷ কলকাতা পুলিশের সেই নজরদারি এড়িয়ে অনায়াসে অস্ত্রকারবার চালাতে, মোডাস অপারেন্ডি বা অপরাধের ধরন পরিবর্তন করেছে বিহারের মুঙ্গেরের একটি দল ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, মনোজ কুমার ভার্মা সম্প্রতি একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এসটিএফের কর্তাদের এই বিষয়ে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন ৷

কী এই নয়া মোডাস অপারেন্ডি বা অপরাধের ধরন ?

লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং বিহার ও ঝাড়খণ্ড পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল যৌথ অভিযানে ওই দুই রাজ্যে তল্লাশি চালায় ৷ একের পর এক বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারখানা খুঁজে বের করেন তদন্তকারীরা ৷ এরপরেই বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে এরাজ্যে বেআইনিভাবে অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় অস্ত্রকারবারিরা ৷

এবার পুলিশের নজর এড়াতে সরাসরি কলকাতা ও শহরতলিতে অস্ত্র ভাণ্ডার খুলছে না বেআইনি অস্ত্রকারবারিরা ৷ বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বিভিন্ন মেশিন নিয়ে আসা হচ্ছে ৷ সঙ্গে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রগুলিকে বিভিন্ন খণ্ডে ভাগ করে ধাপে ধাপে কলকাতায় আনছে অপরাধীরা ৷

কিন্তু, কীভাবে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারখানা গড়ে উঠছে ? লালবাজারের আলোচনায় সেই প্রসঙ্গও উঠেছে ৷ সূত্রের দাবি, এর কারণ হল সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খুব সহজেই কলকাতা ও শহরতলিতে বাড়িভাড়া দেওয়া হচ্ছে ৷ এর ফলে পুলিশের নজর এড়িয়ে কারখানা গড়ে তুলছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের অস্ত্রকারবারিরা ৷

মোটা টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে কোনও রকমের নথিপত্র না-নিয়েই ঘরভাড়া দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোপনে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা খুলে বসছে কারবারিরা ৷

ওই ক্রাইম মিটিংয়ে কলকাতা পুলিশের নগরপাল প্রত্যেক থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ডিভিশনাল ডিসিদের একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন ৷ প্রত্যেক এলাকায় কোথায়, কোন ভাড়াটে আসছে ? তাঁদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড-সহ বিভিন্ন সরকারি নথিপত্র বাড়ির মালিক ঠিকভাবে স্থানীয় থানায় জমা দিচ্ছেন কি না, সেই বিষয়ে বিশেষ নজরদারি চালাতে হবে ৷ প্রয়োজনে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মনোজ কুমার ভার্মা ৷

লালবাজার সূত্রের খবর, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বেআইনি অস্ত্র ব্যবসায়ীরা আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বিভিন্ন খণ্ডে ভাগ করে কলকাতায় আনছে ৷ এক্ষেত্রে সমস্যা হল, যদি কোনও ব্যক্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র বিভিন্ন খণ্ডে ভাগ করে আনেন, সেক্ষেত্রে নাকা তল্লাশিতে ধরা পড়লেও, তা বোঝার উপায় থাকে না সেই যন্ত্রাংশগুলি দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হতে পারে ৷

ফলে এই সকল বিষয়ে বিশেষভাবে নজরদারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল ৷ সম্প্রতি কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ঠিক সামনে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র ও 90 রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা ৷ সেই ঘটনার পরেই কলকাতায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা খুঁজে বের করতে বাড়তি নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার ৷

কলকাতা, 13 নভেম্বর: কলকাতা তথা শহরতলিতে এবার অভিনব কায়দায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার শুরুর পরিকল্পনা অপরাধীদের ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, এসটিএফের সঙ্গে ক্রাইম মিটিংয়ে তেমনটাই জানিয়েছেন নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা ৷ আর এর পিছনে রয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বেআইনি অস্ত্রকারবারিরা ৷

বিহারের মুঙ্গেরের উপর বিশেষভাবে নজরদারি ও তার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এ রাজ্যের বেআইনি অস্ত্রের ব্যবসা বন্ধ করতে অনেকটাই সফল হয়েছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ৷ কলকাতা পুলিশের সেই নজরদারি এড়িয়ে অনায়াসে অস্ত্রকারবার চালাতে, মোডাস অপারেন্ডি বা অপরাধের ধরন পরিবর্তন করেছে বিহারের মুঙ্গেরের একটি দল ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, মনোজ কুমার ভার্মা সম্প্রতি একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এসটিএফের কর্তাদের এই বিষয়ে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন ৷

কী এই নয়া মোডাস অপারেন্ডি বা অপরাধের ধরন ?

লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং বিহার ও ঝাড়খণ্ড পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল যৌথ অভিযানে ওই দুই রাজ্যে তল্লাশি চালায় ৷ একের পর এক বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারখানা খুঁজে বের করেন তদন্তকারীরা ৷ এরপরেই বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে এরাজ্যে বেআইনিভাবে অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় অস্ত্রকারবারিরা ৷

এবার পুলিশের নজর এড়াতে সরাসরি কলকাতা ও শহরতলিতে অস্ত্র ভাণ্ডার খুলছে না বেআইনি অস্ত্রকারবারিরা ৷ বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বিভিন্ন মেশিন নিয়ে আসা হচ্ছে ৷ সঙ্গে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রগুলিকে বিভিন্ন খণ্ডে ভাগ করে ধাপে ধাপে কলকাতায় আনছে অপরাধীরা ৷

কিন্তু, কীভাবে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারখানা গড়ে উঠছে ? লালবাজারের আলোচনায় সেই প্রসঙ্গও উঠেছে ৷ সূত্রের দাবি, এর কারণ হল সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খুব সহজেই কলকাতা ও শহরতলিতে বাড়িভাড়া দেওয়া হচ্ছে ৷ এর ফলে পুলিশের নজর এড়িয়ে কারখানা গড়ে তুলছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের অস্ত্রকারবারিরা ৷

মোটা টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে কোনও রকমের নথিপত্র না-নিয়েই ঘরভাড়া দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোপনে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা খুলে বসছে কারবারিরা ৷

ওই ক্রাইম মিটিংয়ে কলকাতা পুলিশের নগরপাল প্রত্যেক থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ডিভিশনাল ডিসিদের একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন ৷ প্রত্যেক এলাকায় কোথায়, কোন ভাড়াটে আসছে ? তাঁদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড-সহ বিভিন্ন সরকারি নথিপত্র বাড়ির মালিক ঠিকভাবে স্থানীয় থানায় জমা দিচ্ছেন কি না, সেই বিষয়ে বিশেষ নজরদারি চালাতে হবে ৷ প্রয়োজনে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মনোজ কুমার ভার্মা ৷

লালবাজার সূত্রের খবর, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বেআইনি অস্ত্র ব্যবসায়ীরা আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বিভিন্ন খণ্ডে ভাগ করে কলকাতায় আনছে ৷ এক্ষেত্রে সমস্যা হল, যদি কোনও ব্যক্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র বিভিন্ন খণ্ডে ভাগ করে আনেন, সেক্ষেত্রে নাকা তল্লাশিতে ধরা পড়লেও, তা বোঝার উপায় থাকে না সেই যন্ত্রাংশগুলি দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হতে পারে ৷

ফলে এই সকল বিষয়ে বিশেষভাবে নজরদারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল ৷ সম্প্রতি কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ঠিক সামনে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র ও 90 রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা ৷ সেই ঘটনার পরেই কলকাতায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা খুঁজে বের করতে বাড়তি নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.