কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর: নাগরিক সমাজের মিছিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগ চাইলেন নাগরিক সমাজের একাংশ। গত কয়েকদিনে খুব চেনা হয়ে যাওয়া স্লোগান সামান্য বদলেও ফেললেন তাঁরা। শোনা গেল, "দফা এক দাবি এক, নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগ"। রবিবার সন্ধ্যায় ধর্মতলা চত্বরের ঘটল এমনই ঘটনা। দলের ধরনা মঞ্চে তখন বসে রয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে সাংসদ জগন্নাথ সরকার-সহ একাধিক প্রথম সারির নেতা ৷ তাঁদের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ তবে পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ার আগেই কলকাতা পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের একটা বিশাল অংশ মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায় ৷
আজ আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ ও সুবিচারের দাবিতে ফের একবার পথে নামে নাগরিক সমাজ ৷ যে কর্মসূচিতে পা-মেলালেন টালিগঞ্জের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ ৷ দেখা গেল স্কুল পড়ুয়া, আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার এবং রূপান্তরকামীদেরও ৷ সকলের দাবি, ‘‘বিচার চায় আরজি কর ৷’’ কিন্তু সেই মিছিল ধর্মতলা পৌঁছতেই মোদির পদত্যাগের দাবি উঠল ।
বিজেপির মঞ্চ থেকে মাইকে বারবার বলা হচ্ছিল, ‘‘দফা এক দাবি এক, মমতার পদত্যাগ ৷" সেই স্লোগানের শেষ অংশে মমতার নাম উচ্চারণের আগেই মোদির পদত্যাগের দাবি করে নাগরিক সমাজের একাংশ ৷ এই মিছিলে অংশগ্রহণকারী একাংশকে বিজেপির মঞ্চের দিকে আঙুল দেখিয়ে বলতে শোনা গেল, ‘‘এরাই ধর্ষক ! বিলকিস বানু কাণ্ডে এরাই মালা পরিয়ে দোষীদের স্বীকৃতি দিয়েছে ।’’
পালটা বিজেপির তরফে এই নাগরিক সমাজের মিছিলকে ‘সিপিএমের দালাল’ বলে অভিহিত করা হয়েছে ৷ প্রায় 8-10 মিনিট ধরে ধর্মতলা চত্বরে স্লোগান, পালটা স্লোগান চলে । আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিজেরাই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কলকাতা পুলিশ মিছিল রানি রাসমনি অ্যাভিনিউয়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে ৷