কলকাতা, 28 অগস্ট: ছাত্র সমাজের ডাকে মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের পরই বুধবার 12 ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছিল বিজেপি ৷ আর সেই বনধ ব্যর্থ করার জন্য রাজ্যের মানুষ এবং সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অর্থাৎ বুধবার নবান্নের হাজিরার যে ছবি পাওয়া গিয়েছে তাতে স্পষ্ট এই বনধ শুধু ব্যর্থ নয়, এদিন নবান্নের হাজিরা ছিল আর পাঁচটা সাধারণ দিনের থেকেও বেশি।
সাধারণত আর পাঁচটা দিন নবান্নে হাজিরার পরিমাণ থাকে 60 থেকে 90 শতাংশের মধ্যে। এদিন নবান্ন-সহ বিভিন্ন দফতরে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের হাজিরা ছিল 94.85 শতাংশ। উল্লেখযোগ্যভাবে এর মধ্যে পেশ কয়েকটি দফতরে হাজিরা ছিল প্রায় 100 শতাংশ। খুব স্বাভাবিকভাবেই নবান্নের কর্তারা বলছেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও কোথাও বিজেপির ডাকা বনধে আংশিক প্রভাব পড়লেও রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্নে বনধের কোনও প্রভাবই পড়েনি।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার বনধ রুখতে একাধিক প্রশাসনিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিল নবান্ন। বিশেষ করে সরকারি কর্মচারীদের হাজিরা নিশ্চিত করতে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল নবান্নের তরফ থেকে ৷ যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, এদিনের সমস্ত ক্যাজুয়াল লিভ বাতিল করা হচ্ছে। এরপরেও যদি এই নির্দেশ অমান্য করে কেউ ছুটি নেন তবে তাদের বেতন কাটারও সংস্থান রাখা হয়েছিল। তবে এদিন নবান্নের আনাচে-কানাচে যে ছবি ধরা পড়েছে তাতে এমন সংস্থানের প্রয়োজন আদৌ ছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
এদিন যাতে সরকারি কর্মীরা সঠিক সময়ে কাজে যোগ দিতে পারে তার জন্য রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারি বাস নামানো হয়েছিল। নবান্নে সকাল দশটার আগেই সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতির হারও ছিল নজরে পড়ার মতো। ফলে কর্মসংস্কৃতির দিক থেকে বিচার করলে বনধ অন্তত নবান্নের কর্মীরা যে প্রত্যাখ্যানই করেছে তা এদিনের হাজিরা থেকে স্পষ্ট।