কলকাতা, 20 মে: ভূপতিনগর বিস্ফোরণ-কাণ্ডে গ্রেফতার দুই তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতি ৷ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে এদিন জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা ৷ 22 মে মামলাটির শুনানি হবে ৷ উল্লেখ্য, গত 6 এপ্রিল ভোরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের বাড়ি থেকে মনোব্রত গ্রেফতার করেছিল এনআইএ ৷ তাঁদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামের মহিলাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা, যা নিয়ে পরবর্তিতে একটি বিবৃতিও জারি করেছিল এনআইএ ৷ মনোব্রতকে গ্রেফতারের পরে বলাইচরণ মাইতিকে গ্রেফতার করা হয় ৷
2022 সালের 2 ডিসেম্বর ভূপতিনগরের রাজকুমার মান্নার নাড়ুয়া ভিলার দোতলায় বিস্ফোরণ হয় ৷ যে ঘটনায় তিনজনের প্রাণ গিয়েছিল ৷ পুলিশ প্রথমে তদন্ত শুরু করলেও, পরে মামলাটি এনআইএ-র হাতে যায় ৷ প্রায় দেড় বছর পর গত 29 মার্চ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা তৃণমূলের 8 জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ৷ তার 8 দিন পর, 6 এপ্রিল ভোরবেলা ভূপতিনগরের অভিযান চালায় এনআইএ ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিতিতে মনোব্রত জানাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে বলাইচরণকে হেফাজতে নেন তদন্তকারীরা ৷
এই দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত হন এনআইএ আধিকারিকরা ৷ গ্রামের মহিলারা কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন ৷ এমনকি এনআইএ-র গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় ৷ ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন 2 তদন্তকারী আধিকারিক ৷ পুরো ঘটনায় ভূপতিনগর থানায় এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল ৷ মনোব্রত জানাকে হেনস্তার অভিযোগও ওঠে এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ৷ তবে, কলকাতা হাইকোর্টে সেই সব অভিযোগ গ্রাহ্য করা হয়নি ৷
প্রসঙ্গত, 6 এপ্রিলের এনআইএ অভিযানকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতর তৈরি হয়েছিল ৷ রাজ্যের শাসকদলের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে হেনস্তার অভিযোগ করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ৷ ভূপতিনগর বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার প্রায় দেড়মাস পর দুই অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করেছেন ৷ মামলাটি গৃহীত হলেও, 22 মে এর শুনানি হবে ৷
আরও পড়ুন: