কলকাতা, 23 মার্চ: অ্যালঝেইমার্স আক্রান্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ? তেমনটাই দাবি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। শনিবার তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ব্রাত্য বসু। সেখানে তিনি ফের সরব হন রাজ্যপাল বোসের ভূমিকা নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করার পরেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি বলেই দাবি শিক্ষামন্ত্রীর। আর তাতেই তিনি মনে করছেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অ্যালঝেইমাj রোগে আক্রান্ত।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওয়েবকুপা'র সভাপতি ব্রাত্য বসু বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসেছি। কিন্তু যে কারণে বসা সেখানে ওনার কোনও নড়চড় দেখা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ ছাড়া বিষয়টা কীভাবে মিটবে, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।" এর সঙ্গেই ব্রাত্য বলেন, "এখানে আমরা কোনও রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে চাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অচলাবস্থা তৈরিও করতেও চাইনি।" রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, রাজ্যপাল তথা আচার্যের জন্যই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না ৷
এই বিষয়ে কথা বলার সঙ্গেই শিক্ষামন্ত্রী এদিন তুলে আনেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, "উপাচার্যের বয়স সব থেকে বেশি 65 হতে পারে। তারপর ছয় মাস বাড়িয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বয়স 68। এটা কীভাবে হল আমরা জানি না।" এখানেই শেষ নয়, ব্রাত্য বসুর গলায় এদিন নিশানার সুরও শোনা যায়। তিনি বলেন, "আমরা চাইলে আইনী পরামর্শ নিয়ে শিক্ষা দফতর থেকে উপাচার্যের নাম ঘোষণা করে দিতে পারি। কারণ আমরা স্টেক হোল্ডার। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন বিপন্ন হয়ে যেত। অচলাবস্থা তৈরি হত। তাই এটা আমরা করতে পারি না।"
আরও পড়ুন: