দার্জিলিং, 13 অক্টোবর: ফের 48 ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের। সরকার কোনওভাবেই নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে না। তাই এবার জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিল ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অনশনরত ডাক্তারি পড়ুয়া সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। অনশনের সময় অসুস্থ হয়ে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আরেক আন্দোলনকারী অলোক বর্মার সঙ্গেও তাঁদের দেখা হয় ৷ প্রতিনিধি দলে ছিলেন কৌশিক পণ্ডিত ও গৌতম দত্ত শর্মা-সহ আইএমএ'র সদস্যরা। সরকারের প্রতি অসহযোগিতা ও আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
এদিন দুই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করার পর তাঁরা জানান, জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনেও সরকারের বরফ গলছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ওপর চাপ বাড়িয়ে এবার পেন ডাউন বা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেমা। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। বাতিল হবে পরিকল্পিত 3টি অর্থাৎ অস্ত্রোপচার। এমনটাই সিদ্ধান্ত ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তবে শুধুই 48 ঘণ্টা নয়, দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পেন ডাউনের সময়সীমা দীর্ঘায়িত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।
10 দফা দাবির পক্ষে রাজ্যের তরফে সদুত্তর না-মেলায় ইতিমধ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ফেডারেশন অফ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জানান, তাঁরা জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে রয়েছেন। প্রথম থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকরা দৃঢ় মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
এদিন সকালে ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন ৷ চিকিৎসক কৌশিক পণ্ডিত জানান, যে সমস্ত দাবি জুনিয়র চিকিৎসকরা তুলে ধরেছেন সেগুলি শুধু তাঁদের নয় সর্বসাধারণের দাবি। একটাও শুধু নিজেদের স্বার্থে নয়।
সোমে দেশজুড়ে অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা, জানাল আইএমএ; রাজ্যে একই পথে চিকিৎসকরাও