শিলিগুড়ি, 29 সেপ্টেম্বর: গাজলডোবার কাছে টাকিমারিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের চাক সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল । সেই পরিবারের সদস্য়দের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিধানমার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যেও সাহায্যের হাত বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার বিকেলে উত্তরকন্যায় 8 জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ধস পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সারেন তিনি। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের পরিবার ও বিধানমার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের ব্যবসায়ীদের আর্থিক সাহায্য করেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে টাকিমারিতে হাতির হানা থেকে বাঁচতে গোয়ালঘরে হুকিং করে বিদ্যুৎ টানতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় একই পরিবারের চারজনের।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের পরিবারের সদস্য সুফলা দাসকে 5 লক্ষ টাকা ও অনিমেষ দাসকে 3 লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। পাশাপাশি রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় ও জেলাশাসককে মৃতের পরিবারের বাড়ি তৈরির জন্য যাবতীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি
শনিবার শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক দোকান। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্যের জন্য আবেদন জানান।
এদিন উত্তরকন্যায় শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে সঙ্গে নিয়ে বিধানমার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ছটি দোকানের ব্যবসায়ীদের 1 লক্ষ টাকা ও 23টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের ব্যবসায়ীদের 50 হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা জানান। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলি নির্মাণের জন্য শিলিগুড়ি পৌরনিগমকে নির্দেশও দেন। রাতে আবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন ও মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যের কথা জানান।
হুকিংয়ের সময় বিপত্তি! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক শিশু-সহ 4 জনের