বর্ধমান, 14 মে: বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে চতুর্থ দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে ৷ এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। নির্বাচন শেষে ফের প্রাতঃভ্রমণে পুরোনো মেজাজে ফিরলেন তিনি। আত্মবিশ্বাসী মেজাজে বললেন, "এর আগে বর্ধমানে এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়নি। মানুষ ভোট দিয়েছে। ছাপ্পা বা রিগিং হয়নি। রসগোল্লা আমিই খাওয়াবো।"
সোমবারের নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো খুশি দিলীপ ঘোষ। আত্মবিশ্বাস ভরা গলায় তিনি জানান, বিজেপির জন্যই তিনি ৷ বিজেপি তো জিতবেই ৷ তাঁর কথায়, "লড়াই আমি করেছি। মানুষ পদ্মফুলে ভোট দিয়েছে। বুথের মধ্যে সেন্ট্রাল ফোর্স কড়া পাহাড়া দেওয়ায় কোনও রিগিং বা ছাপ্পা হয়নি। দু-এক জায়গায় ইভিএম মেশিনে গন্ডগোল থাকায় ভোটগ্রহণ কিছুটা ব্যহত হয়। আমি একাধিক বুথে গিয়ে দেখেছি মানুষের নিজের মতো করে ভোট দিয়েছে । কয়েক জায়গায় আমাদের এজেন্টকে মেরে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৷ কিন্তু তাতে ভোট আটকায়নি ।"
কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশংসা করলও, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ করেছেন তিনি ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "পুলিশের কোনও ভূমিকা ছিল না। নীরব দর্শক হয়ে পুলিশ শুধু দেখে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জুলুমবাজী। না-হলে কোনও গন্ডগোল হতো না। তবে তৃণমূল কংগ্রেস যে হতাশ হয়েছে, তা তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে সেটা ফুটে উঠেছে । আমার বাড়ির সামনে তৃণমূল ঝামেলা করায় এখন পুলিশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সেটার দরকার ছিল না। তৃণমূল কংগ্রেসের কত দম আছে, সেটা আমার জানা আছে।"
তিনি আরও বলেন, "এই শহরে বিজেপিতে কিছু ফাঁকিবাজ লোক আছে যারা স্পটে না গিয়ে বাড়ি থেকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। গ্রামে কিন্তু বিজেপির কার্যকর্তারা মাটি কামড়ে পড়েছিল। আমরা জানতাম সব বুথে এজেন্ট দিতে পারবো না। তা-ও এজেন্ট দিয়েছি। কাল শেষে যে বুথে গন্ডগোল হয়েছে সেখানে না গেলেই ভালো হতো। কারণ, ওই বুথে আমার ভোট তাহলে আরও বেড়ে যেত।"
গতকাল নির্বাচনের দিনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলেও, দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বেশ কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটে। তাঁর গাড়ির উপরে হামলা চালানোয় রাগ উগরে দিয়েছেন তিনি। ওরা যাই করুক না কেন 8 জুন মিষ্টি তিনিই খাওয়াবেন। তবে ভোটের দিনে জেলার বিজেপির ভূমিকা নিয়ে যে দিলীপ ঘোষ সন্তুষ্ট নন, সেটা তার কথাতেই পরিস্কার।
আরও পড়ুন: