ETV Bharat / state

জলপাইগুড়িতে 10 বছরে মেয়েকে উঠোন থেকে তুলে নিয়ে গেল চিতাবাঘ

বাড়ির পিছনে ঘাপটি মেরে বসেছিল চিতাবাঘটি ৷ সুশীলা উঠোনে আসতেই গলার কাছে কামড়ে ধরে টেনে নিয়ে যায় ৷ পরে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷

Etv Bharat
মেয়েকে উঠোন থেকে তুলে নিয়ে গেল চিতাবাঘ (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 19, 2024, 11:06 PM IST

জলপাইগুড়ি, 19 অক্টোবর: বাড়িতে হানা চিতাবাঘের ৷ হামলা চালিয়ে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গেল চিতাবাঘ। বছর দশের নাবালিকার সুশীলা গোয়ালা ওরফে লীলাবতী । পরে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘটে শনিবার সন্ধ্যায় নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাসা 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খেরকাটা গ্রামে। ঘটনায় গ্রামজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লীলাবতী এলাকার কলাবাড়ি-খেরকাটা বিএফপি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। বাড়ি দক্ষিণ খেরকাটায়। মেয়েটির দেহ উদ্ধারের পর বনকর্মীরা সেখানে পৌঁছলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের এডিএফও রাজীব দে বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নাবালিকার পরিবারকে আর্থিক সাাহায্যের বন্দোবস্ত করা হবে। সেখানে খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বনকর্মীরা এলাকায় রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদিন বাড়ি লাগোয়া গ্রহরাজ মন্দিরে পুজো হচ্ছিল ৷ সেখান থেকে ফিরে কলতলায় গিয়েছিল হাত-পা ধুতে ৷ ঘরে ঢুকতে যাওয়ার সময় সুশীলার শিকার করবে বলে চিতাবাঘটি ওত পেতে ছিল ৷ সুশীলার পিছন থেকে হামলা চালায়। গলায় কামড় দিয়ে টেনে নিয়ে যায় পাশের ডায়নার জঙ্গলে। সে সময় ওই নাবালিকার বাড়িতে বাবা, মা ছিল না। স্থানীয়রা টের পেতেই জঙ্গলের দিকে এগিয়ে যান। ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দেখার খানিক পর সুশীলার খোবলানো দেহ উদ্ধার হয়।

সুশীলার বাবা রাম সুরেশ গোয়ালা পেশায় দিনমজুর। মা পূজা গোয়ালা গাঠিয়া চা-বাগানে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁরা বাড়ি ফিরে এসে মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতির কথা জানতে পারেন। বর্তমানে সুশীলার মা ঘন ঘন মূর্চ্ছা যাচ্ছেন।

জলপাইগুড়ি, 19 অক্টোবর: বাড়িতে হানা চিতাবাঘের ৷ হামলা চালিয়ে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গেল চিতাবাঘ। বছর দশের নাবালিকার সুশীলা গোয়ালা ওরফে লীলাবতী । পরে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘটে শনিবার সন্ধ্যায় নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাসা 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খেরকাটা গ্রামে। ঘটনায় গ্রামজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লীলাবতী এলাকার কলাবাড়ি-খেরকাটা বিএফপি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। বাড়ি দক্ষিণ খেরকাটায়। মেয়েটির দেহ উদ্ধারের পর বনকর্মীরা সেখানে পৌঁছলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের এডিএফও রাজীব দে বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নাবালিকার পরিবারকে আর্থিক সাাহায্যের বন্দোবস্ত করা হবে। সেখানে খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বনকর্মীরা এলাকায় রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদিন বাড়ি লাগোয়া গ্রহরাজ মন্দিরে পুজো হচ্ছিল ৷ সেখান থেকে ফিরে কলতলায় গিয়েছিল হাত-পা ধুতে ৷ ঘরে ঢুকতে যাওয়ার সময় সুশীলার শিকার করবে বলে চিতাবাঘটি ওত পেতে ছিল ৷ সুশীলার পিছন থেকে হামলা চালায়। গলায় কামড় দিয়ে টেনে নিয়ে যায় পাশের ডায়নার জঙ্গলে। সে সময় ওই নাবালিকার বাড়িতে বাবা, মা ছিল না। স্থানীয়রা টের পেতেই জঙ্গলের দিকে এগিয়ে যান। ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দেখার খানিক পর সুশীলার খোবলানো দেহ উদ্ধার হয়।

সুশীলার বাবা রাম সুরেশ গোয়ালা পেশায় দিনমজুর। মা পূজা গোয়ালা গাঠিয়া চা-বাগানে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁরা বাড়ি ফিরে এসে মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতির কথা জানতে পারেন। বর্তমানে সুশীলার মা ঘন ঘন মূর্চ্ছা যাচ্ছেন।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.