বারাসত, 1 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনের এসপি অফিস অভিযান ঘিরে শনিবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বারাসতে । পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বচসা, ধস্তাধস্তি, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা কিছুই বাদ গেল না এদিন । যদিও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় সেই চেষ্টা এদিন ব্যর্থ হয়েছে বামপন্থী কর্মী-সমর্থকদের । বাধা পেয়ে 12 নম্বর জাতীয় সড়কের উপরেই বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা । বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনের এই আন্দোলনের জেরে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে জাতীয় সড়ক ।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর 22 দিন কেটে গেলেও আন্দোলনের ঝাঁঝ কমেনি । যত দিন যাচ্ছে, ততই এই ঘটনায় আন্দোলনের তীব্রতা বেড়ে চলেছে । একটাই দাবি, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ । সেই দাবিতেই শনিবার বিকেলে বারাসতে এসপি অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিল বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি ।
সেই মতো হেলাবটতলার কাছে মিলনী মাঠ থেকে সিটু-সহ অন্যান্য বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করে 12 নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এগোতে থাকেন চেকপোস্ট সংলগ্ন এসপি অফিসের দিকে । এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সিটুর রাজ্য নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়, বাম নেতা আহমেদ আলি খান প্রমুখ । মিছিলে গণ্ডগোলের আশঙ্কায় এদিন আগে থেকেই এসপি অফিসের ঠিক সামনে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দিয়েছিল পুলিশ । মিছিল এসপি অফিস চত্বরে আসতেই প্রথম গার্ডরেল ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা । এরপর দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা, ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় ।
সিটুর রাজ্য নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় অপদার্থ কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ চাই আমরা । এই পাশবিক ঘটনায় পুলিশ ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না । তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দেওয়া হয়েছে । সেখানে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে । আমরা তো আমরা এসপি অফিস দখল করতে যাচ্ছি না ৷ পুলিশের এই আচরণ কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না ।’’