কলকাতা, 15 অগস্ট: এরা কারা ? সন্ধান জানা থাকলে তাড়াতাড়ি স্থানীয় থানা কিংবা লালবাজারে যোগাযোগ করুন ৷ সোশাল মিডিয়ায় এমনই পোস্ট করল কলকাতা পুলিশ। বুধবার রাতে আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতালে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করল লালবাজার। সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের পেজে তাদের ছবি প্রকাশ করল কলকাতা পুলিশ। একইসঙ্গে বলা হয়, এই সব ব্যক্তিদের পরিচয় যদি কারোও জানা থাকে, সেক্ষেত্রে তাঁরা যেন স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷
14 অগস্ট রাতে যখন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সেখানে আন্দোলনকারীরা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোরে মিছিল করার পরিকল্পনা করে ৷ অভিযোগ সেই সময়ে একদল যুবক-যুবতী পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালে ভিতরে ঢুকে যায়। শুধু আরজি কর হাসপাতালের ভিতরে ঢোকা তেমনটা নয়, সঙ্গে চলে নির্বিচারে ভাঙচুর। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি থেকে আইসিইউ এবং পুলিশের বিশ্রাম ঘরেও ভাঙচুর চালানো হয় ৷ রাতেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে। সঙ্গে আসেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরাও ৷
সেই সময় পুলিশকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। দফায় দফায় উঠতে থাকে স্লোগান। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে ৷ তাদের হাতে বাঁশ, লাঠিও ছিল বলে অভিযোগ ৷ সেই ইটের গায়ে গুরুতর যখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও। বর্তমানে দুই পুলিশকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরজি করের ঘটনায় ইতিমধ্যেই নিন্দা সরব হয়েছে গোটা মহল। এবার সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের জন্য তাদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে লালবাজার। জানতে চাওয়া হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি এই যুবক-যুবতীদের চেনেন তবে সেক্ষেত্রে তাঁরা যেন স্থানীয় থানা অথবা সরাসরি লালবাজারে এসে যোগাযোগ করেন।
তবে এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে এই প্রকারের একটি ঘটনা কীভাবে ঘটে গেল ? কেন হাসপাতালে যখন ভাঙচুর চলছে সেই সময় ময়দানে নামল না পুলিশ ? কেন কাউকে গ্রেফতার করা গেল না ? এই রকমই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে সেই রাতেই নগরপাল বিনীত গোয়েল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। সঙ্গে গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের ওপর।