কলকাতা, 16 অক্টোবর: পুলিশের হাতে আটক কর্মরত অনশনকারী এক চিকিৎসক। রেড রোডে পুজোর কার্নিভালের কর্মরত ছিলেন পুর চিকিৎসক তপব্রত রায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থনে তিনি মঙ্গলবার প্রতীকী অনশন রেখেছিলেন। সেই অবস্থায় তিনি মঙ্গলবার কাজ করছিলেন রেড রোডে। কিন্তু, আচমকাই তাঁকে সেখান থেকে আটক করে কলকাতা পুলিশ। যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তিনি আসেন ধর্মতলার অনশন মঞ্চে। তারপর নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনেন তিনি।
তপব্রত রায় হলেন 123 নম্বর ওয়ার্ডের আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের মেডিক্যাল অফিসার। মঙ্গলবার দুপুর 2টো থেকে তাঁর ডিউটি ছিল রেড রোডে। ভিভিআইপিদের ঠিক উল্টো দিকে মেডিক্যাল টিমের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই বসে ছিলেন চিকিৎসক তপব্রত রায়। তাঁর গায়ে লাগানো ছিল 'we want justice'-এর ব্যাজ এবং প্রতীকী অনশনের স্টিকার।
চিকিৎসক তপব্রত রায় বলেন, "ঠিক 2টো 45 মিনিট নাগাদ একজন আমায় ডাকেন। তখন তাড়াহুড়োতে ওখানে আমার একটাা ফোন এবং অফিসের কাগজপত্র রেখে বেরিয়ে আসি। তারপর পাশের একটি জায়গায় আমায় বসিয়ে ছবি তোলেন তিনি, আই কার্ডেরও ছবি তোলেন। তারপর ঘটনাস্থলে আসেন ময়দান থানার ওসি। তিনি আমার পরিচয় জানতে চান, কাগজ দেখতে চান। যেখানে আমাদের বসার জায়গা ছিল, সেখানে গাড়িতে করে আমায় নিয়ে যান তাঁরা। ওখানে আমার সঙ্গে কর্মরত অন্যান্য পুর চিকিৎসকদের থেকে নথি সংগ্রহ করে তাঁরা। তারপর আমায় থানায় নিয়ে আসেন।"
পুর চিকিৎসক আরও বলেন, "কোন থানায় নিয়ে আসা হচ্ছিল, আমায় বলা হয়নি। তারপর দেখা যায় ময়দান থানা। নিয়মের অজুহাতে আমার থেকে ফোন তাঁরা নিয়ে নেয়। তবে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার তাঁরা করেননি। ওসি চলে যান। এসআই ছিলেন । কিন্তু, কিছুতেই ফোন দিচ্ছিলেন না। বরং আমার থেকে নম্বর নিয়ে আমার আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা তিনি বলেন। তবে বেশ কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার, ময়দান থানার ওসি। কিছু জিজ্ঞাসাবাদের পর আরেস্ট মেমো, ইন্টারোগেশন মেমো এবং বেলের মেমো, এই তিনটি কাগজে আমায় সই করতে বলা হয়েছিল । সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা হয় ।"
পুর চিকিৎসক তপব্রত রায়ের অভিযোগ, "একাধিকবার আমি জিজ্ঞেস করেছি, আমার দোষ কী ? তা কেউ বলতে পারেননি। আবার অনেকে বলেছেন, জানতে পেরেছি আমার উপর 151 ধরা জারি করা হয়েছে। আমি গণ্ডগোল সৃষ্টি করতে পারি, সেই সন্দেহে ওনারা আমায় নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ আমার প্রশ্ন, কোন নিয়মে কর্মরত অবস্থায় ওনারা আমায় হেনস্থা করলেন ? এই সব কিছুর বিচার চাই। কেন এত জবরদস্তি, হেনস্থা চলছে? আমাদের থামলে চলবে না ।"