কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর: পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ সিবিআই দফতরে এসে পৌঁছলেন ৷ সিবিআই সূত্রের খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়ার খুন এবং ধর্ষণ কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাঁকে তলব করা হয়েছে ৷ আরজি করের নির্যাতিতার মৃতদেহ যখন সোদপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন তাঁকে দাহ করার কাজে এই বিধায়কই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ৷
সিবিআইয়ের হাতে নির্মল ঘোষে এমনই বেশকিছু ছবি আগেই পৌঁছয় ৷ তখন থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে ছিল নির্মল ঘোষ ৷ যার জন্য বারবার ঘোলা থানার আইসিকে তলব করেছিল সিবিআই ৷ যদিও তিনি গড়হাজির ছিলেন ৷ এরপরই একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ এমনকী সেদিনের শ্মশানেরও ভিডিয়ো ফুটেজ দেখা হয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ৷
রবিবার যিনি নির্যাতিতার দেহ সৎকার করেছিলেন সেই ডোমকে তলব করেছিল সিবিআই ৷ পাশাপাশি তলব করা হয়েছিল যিনি চিকৎসক পড়ুয়ার ময়নাতদন্ত করেছিল তাঁকেও (অপূর্ব বিশ্বাস) তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ এই অপূর্ব বিশ্বাস আরজি কর হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ৷ সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
পাশাপাশি আরও দুই ব্যক্তির নাম উঠে আসে জিজ্ঞাসাবাদের পর ৷ এর মধ্যে অপূর্ব বিশ্বাস জানান, তাঁকে ময়নাতদন্ত করার জন্য চাপ দেওয়া হয় ৷ তিনি আরও জানান, নির্যাতিতার বাড়ির পাশের একজন প্রাক্তন কাউন্সিলর এসে তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেন, "যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ময়নাতদন্ত শেষ করতে হবে ৷ না-হলে আরজি কর হাসপাতালে রক্তগঙ্গা বইবে ৷" এই তথ্য পাওয়ার পর সিবিআই ওই ডোমের কাছ থেকে জানতে পারে, সেদিন শ্মশানে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ এসে তাঁকে বলেন, "যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্যাতিতার দেহ সৎকার করতে হবে ৷"
এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নির্মল ঘোষকে তলব করে ৷ তাই তিনি এদিন সকালে পৌঁছন সিজিও কমপ্লেক্সে ৷ জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর ফোনও ঘেঁটে দেখছে সিবিআই ৷