দুর্গাপুর, 31 ডিসেম্বর: পিকনিক স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছে 'ঐরাবত' । যা দেখে পর্যটকরা চমকেও যাচ্ছেন । না না এই 'ঐরাবত' মানে হাতি নয় । এটা বনদফতরের একটি বিশেষ গাড়ির নাম । এই বিশেষ গাড়িটিতে চেপে বন্য জীবজন্তুদের সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছেন বনদফতরের কর্মীরা ।
মঙ্গলবার 2024 সালের শেষ দিন । বুধবার শুরু হবে নতুন বছর । বছরের শেষ দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা ভিড় করেছেন কাঁকসার দেউলের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে । এই বনাঞ্চলে রয়েছে প্রায় 100টি হরিণ, কয়েকশো ময়ূর, ভারতীয় প্রজাতির নেকড়ে, নীলগাই, সজারু-সহ বহু বিরল প্রজাতির প্রাণী । সেখানেই রয়েছে অজয় নদীর ধারে বিশাল পিকনিক স্পট । যেখানে পৌঁছে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ।
পিকনিক স্পটে তারস্বরে স্পিকার বাজাতেও দেখা যায় । ফলে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বন্য জীবজন্তুদের । সেইসব বন্য জীবজন্তুদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেই জন্য দুর্গাপুর বনাঞ্চলের বিশেষ নজরদারি শুরু হল । বনদফতরের 'ঐরাবত' নামক গাড়িটি করে গোটা পিকনিক স্পট জুড়ে চলছে নজরদারি । ওই গাড়ি থেকেই মাইকিং করা হচ্ছে থার্মোকলের থালা বাটি ব্যবহার না করার জন্য ৷ লাউড স্পিকার ব্যবহার না করতে এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে যেতে না করা হচ্ছে ৷ বনদফতরের রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিট অফিসার অনুপকুমার মণ্ডল-সহ বনকর্মীরা এই নজরদারি চালাচ্ছেন ।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর বনাঞ্চলের বনাধিকারিক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সবসময়ই নজরদারি চালানো হয় । তবে পিকনিকের মরশুমে মঙ্গলবার থেকে বিশেষ নজরদারি শুরু হল । গোটা পিকনিক স্পট জুড়ে এই ঐরাবত নামে গাড়িটি করে মানুষজনকে সচেতন করা হচ্ছে । তবে কেউ যদি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে, তারস্বরে স্পিকার বাজানোর চেষ্টা করে, কোনও কারণ ছাড়াই বন্য জীবজন্তুদের উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
মুনমুন মণ্ডল নামে এক পর্যটক বলেন, "এখানকার পরিবেশ খুবই ভালো । আমরা স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে পিকনিক করতে এসেছি । হরিণ, ময়ূর দেখব । প্রাচীন নিদর্শনগুলিও জানার চেষ্টা করব । সারাদিন ধরে হৈ হুল্লোড় করে কাটাব ।"