ETV Bharat / state

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আরও এক অনশনকারী চিকিৎসক, অবস্থা সঙ্কটজনক

রবিবার রাতে তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হয় আর এক অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্যর ৷ দীর্ঘ আট দিন অনশনের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

Dr Pulastya Acharya
অসুস্থ আরও এক অনশনকারী চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 14 অক্টোবর: অসুস্থ হয়ে পড়লেন আর এক অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘ আট দিন অনশন করার পর রবিবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

রবিবার তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হয় তাঁর। ধীরে ধীরে জ্ঞানও হারিয়ে ফেলছিলেন তিনি। তৎক্ষণাৎ অ্যাম্বুলেন্স করে তাঁকে নিয়ে আসা হয় নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন পুলস্ত্য। অনিকেত মাহাতো, অলক ভর্মা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের পর এবার পুলস্ত্য আচার্য, অনশনের আট দিনে এখনও পর্যন্ত চার জুনিয়র চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্যর চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই ছয় বিভাগ থেকে চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ডের রেসপেটনরি মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক চিকিৎসক জয়দীপ দেব জানান, "পুলস্ত্যর শরীরের সোডিয়াম থেকে শুরু করে সমস্ত প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থগুলির ঘাটতি ঘটেছে। এর কারণ হল, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা। ওর শরীরে অত্যাধিক মাত্রায় জল কমে গিয়েছে। সেই কারণে স্যালাইনের মাধ্যমে আমরা জল দিচ্ছি। জ্ঞান ফিরেছে কিন্তু দুর্বল রয়েছে। খুব ভালো সময় ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। নয়তো বড় বিপদ হতে পারত। তবে সময় মতো চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া হয়েছে, তাতে ও সারাও দিচ্ছে।"

প্রথম দিন থেকে যে সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকেরা অনশনে বসেছেন তার মধ্যে ছিলেন পুলস্ত্য। এর মাঝেও আর একদিন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনশন মঞ্চে। সেই সময় অনশন মঞ্চে থাকা মেডিকেল টিম তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তার পরেও দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকার কারণে এই অসুস্থতা বলেই জানান তাঁর চিকিৎসক। তবে শুধু পুলস্ত্য নয় এর আগে চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো, চিকিৎসক অলক ভর্মা, চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়কেও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে একই কারণে।

আরও পড়ুন
সোমে বৈঠকের ডাক মুখ্যসচিবের, 'দ্রোহের কার্নিভাল' বন্ধের অনুরোধ
সরকারের সদিচ্ছা নেই বলেই দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, বললেন নির্যাতিতার বাবা

কলকাতা, 14 অক্টোবর: অসুস্থ হয়ে পড়লেন আর এক অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘ আট দিন অনশন করার পর রবিবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

রবিবার তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হয় তাঁর। ধীরে ধীরে জ্ঞানও হারিয়ে ফেলছিলেন তিনি। তৎক্ষণাৎ অ্যাম্বুলেন্স করে তাঁকে নিয়ে আসা হয় নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন পুলস্ত্য। অনিকেত মাহাতো, অলক ভর্মা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের পর এবার পুলস্ত্য আচার্য, অনশনের আট দিনে এখনও পর্যন্ত চার জুনিয়র চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্যর চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই ছয় বিভাগ থেকে চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ডের রেসপেটনরি মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক চিকিৎসক জয়দীপ দেব জানান, "পুলস্ত্যর শরীরের সোডিয়াম থেকে শুরু করে সমস্ত প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থগুলির ঘাটতি ঘটেছে। এর কারণ হল, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা। ওর শরীরে অত্যাধিক মাত্রায় জল কমে গিয়েছে। সেই কারণে স্যালাইনের মাধ্যমে আমরা জল দিচ্ছি। জ্ঞান ফিরেছে কিন্তু দুর্বল রয়েছে। খুব ভালো সময় ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। নয়তো বড় বিপদ হতে পারত। তবে সময় মতো চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া হয়েছে, তাতে ও সারাও দিচ্ছে।"

প্রথম দিন থেকে যে সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকেরা অনশনে বসেছেন তার মধ্যে ছিলেন পুলস্ত্য। এর মাঝেও আর একদিন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনশন মঞ্চে। সেই সময় অনশন মঞ্চে থাকা মেডিকেল টিম তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তার পরেও দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকার কারণে এই অসুস্থতা বলেই জানান তাঁর চিকিৎসক। তবে শুধু পুলস্ত্য নয় এর আগে চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো, চিকিৎসক অলক ভর্মা, চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়কেও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে একই কারণে।

আরও পড়ুন
সোমে বৈঠকের ডাক মুখ্যসচিবের, 'দ্রোহের কার্নিভাল' বন্ধের অনুরোধ
সরকারের সদিচ্ছা নেই বলেই দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, বললেন নির্যাতিতার বাবা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.