কলকাতা, 31 অগস্ট: মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধে বছরের শুরুতেই ময়দানে নেমেছে কলকাতা পুরনিগম ৷ তার ফল মিলেছে হাতেনাতে ৷ পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি অনুযায়ী, এখনও নিয়ন্ত্রণে মশাবাহিত রোগের পরিসংখ্যান ৷ তবে, শারদোৎসব সময় ডেঙ্গি সংক্রমণের চূড়ান্ত আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ তাই উৎসবের মরশুমে ছুটি নয় ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে পথেই থাকছেন পুরনিগমের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী এবং ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা ৷ এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ ৷
অন্যান্যবার পুজোর সময় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা এতটাই বেড়ে যায় যে, পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে শহরে ৷ তবে, স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, গতবারের ধারকাছ নেই আক্রান্তের সংখ্যা ৷ তা ডেঙ্গি রোগী হোক বা ম্যালেরিয়া ৷ মেয়রের উপস্থিতিতে কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সুব্রত রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, "গত বছর এইসময়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন 1460 জন ৷ এবছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন 312 জন ৷ গত বছরে তুলনায় 77.83 শতাংশ কম ৷ গত বছর এইসময়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন 3883 জন ৷ চলতি বছরে এখন পর্যন্ত 1778 জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ৷ যা গতবারের তুলনায় 54 শতাংশ কম ৷ দুর্গা পুজো একটা লক্ষ্য, আমরা এই দিকে বেশি করে নজর রাখছি ৷"
এবার পুজোর দিনগুলিতে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় কলকাতা পুরনিগমের অধীন সব স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ শনিবার কলকাতা পুরনিগমের টক টু মেয়র অনুষ্ঠান শেষে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ মেয়র বলেছেন, "যদিও এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রকোপ যথেষ্ট কম ৷ তা সত্ত্বেও আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই ৷ তাই পুজোর দিনগুলিতে ডেঙ্গি নির্ধারণ কেন্দ্রগুলি যেমন খোলা থাকবে ৷ তেমনি খোলা থাকবে কলকাতা পুরনিগমের সব স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৷"
কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায়চৌধুরী বলেন, "144 টি আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার, 22টি ফিফটিন ফিন্যান্স কমিশনের অধীন স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলা থাকবে । বরো অফিসগুলিও খোলা রাখব আমরা ৷ ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা নিয়মিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরবেন ৷ মশা মারার স্প্রে দেওয়া, জমা জল আছে এমন স্পট চিহ্নিত করবেন তাঁরা ৷"