মিহিজাম (ঝাড়খণ্ড), 28 ফেব্রুয়ারি: পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া প্রায় শতাধিক গরু উদ্ধার করা হল বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমানায় ৷ নাগাল্যান্ডের নম্বর প্লেট লাগানো দু’টি কন্টেনার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যে ঢুকছিল ৷ কানগৈ চেক পয়েন্টে কন্টেনার দু’টি আটকে তল্লাশি চালাতেই গরুগুলিকে উদ্ধার করে ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম থানার পুলিশ ৷ আটক হয়েছে দু’টি কন্টেনারকে ৷ তার চালক ও খালাসি-সহ মোট 6 জনকে আটক করা হয়েছে ৷
পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরুপাচারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে তৎপরতা দেখিয়েছে ইডি ও সিবিআই ৷ এই গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে অন্যতম মূলচক্রী এনামুল হককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ এমনকি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল-সহ আরও অনেকে ইডি ও সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েছে ৷ তদন্তের জাল বিস্তার করে গরুপাচার-কাণ্ডে আরও অনেককে রাডারে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা দু’টি ৷ কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, তারপরও কি বন্ধ হয়েছে গরুপাচার ?
কয়েক মাস আগেই আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল হাতেনাতে গরুপাচার ধরেছিলেন ৷ শুধু তাই নয়, চলতি মাসেই আসানসোলের ডাং মহিশীলা গ্রামে গরুপাচারকারী সন্দেহে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, এতসব ঘটনার পরেও গরুপাচার থামেনি ৷
এবার পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খন্ড সীমানায় আটক হল দু’টি বিরাট বড় কন্টেনার ৷ এই দু’টি কন্টেনারে শতাধিক গরুপাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ সীমানা পেরিয়ে রাজ্যে ঢোকার আগেই কানগৈ চেক পয়েন্টে ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম থানার পুলিশ সন্দেহজনক কন্টেনার দু’টিকে দাঁড় করায় ৷ এরপর গাড়িতে তল্লাশি চালাতে দেখা যায়, ঠাসাঠাসি করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া একটি গরু ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে ৷ গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কোন নির্দিষ্ট নথি দেখাতে পারেনি কন্টেনারের চালক বা তাতে সওয়ার অন্যান্যরা ৷ এরপরেই গরু-সহ কন্টেনারগুলিকে আটক করে পুলিশ ৷ কন্টেনারে থাকা 6 জনকে পুলিশ আটক করেছে ৷ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷
মিহিজাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এই গরুগুলিকে বাংলাদেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল ৷ আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গরুগুলি কোথা থেকে আনা হচ্ছিল এবং এই পাচার চক্রের মাথায় কে বা কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে ৷
আরও পড়ুন: