কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর: চেন্নাইয়ে অনাহারে ও অসুস্থতায় তীব্র সংকটের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের 12 জন শ্রমিক ৷ তাঁদের পাশে দাঁড়াতে তৎপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ তিনি বাংলার শ্রমিকদের সমস্যার কথা শুনে কোচি থেকে সোজা চলে গিয়েছেন চেন্নাইতে ৷ ওই শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেন রাজ্যপাল ৷
পশ্চিমবঙ্গের 12 জন শ্রমিক খাদ্য ও আর্থিক সমস্যার কারণে আটকে পড়েছেন চেন্নাইয়ে । জানা গিয়েছে, তাঁরা কাজের খোঁজে দক্ষিণের রাজ্যে গেলেও সেখানে কাজ পাননি । তাঁদের মধ্যে 5 জন অনাহারে রেলস্টেশনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন । ইতিমধ্যেই তাঁদের চেন্নাইয়ের রাজীব গান্ধি জেনারেল সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । মঙ্গলবার রাজভবন সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে ।
7 জন শ্রমিককে চেন্নাই পুরনিগমের সেফ হোমে রাখা হয়েছে । তাঁদের কথা শুনে কলকাতায় ফেরার পরিবর্তে কোচি থেকেই চেন্নাইয়ে রওনা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । চেন্নাইয়ের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি দুর্গত শ্রমিকদের তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থাও করেছেন রাজ্যপাল । সিভি আনন্দ বোসের আইনি উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট গোপিকা, স্থানীয় প্রশাসন ও চেন্নাই পুরনিগমের সিটি হেলথ অফিসার ডা. জগদীশানের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছেন ।
চেন্নাইয়ের হাসপাতালে বাংলার যে শ্রমিকরা ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের তালিকা...
1) গণেশ মিদ্যা (52), তিনি তীব্র ডিহাইড্রেশন ও গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসে আক্রান্ত
2) অসিত পণ্ডিত (47), তিনি তীব্র ডিহাইড্রেশন ও গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসে আক্রান্ত
3) সত্য পণ্ডিত (42), তীব্র ডিহাইড্রেশন ও গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসে আক্রান্ত
4) মানিক ঘোড়ুই (50), তীব্র ডিহাইড্রেশন ও গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসে আক্রান্ত
5) সমর খান (35), গুরুতর ডিহাইড্রেশন/সিভিয়ার মেটাবলিক অ্যাসিডোসিস/হাইপোভোলেমিক শক ও তীব্র গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসে আক্রান্ত ৷
এঁদের প্রত্যেককেই এই মুহূর্তে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে ।
নিম্নলিখিত শ্রমিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে...
1. অজিত মণ্ডল (31)
2. রবিরই (59)
3. সনাতন দাস (44)
4. শিশির মাণ্ডি (31)
5. কাবুল খান (43)
6. অনুপ্রাই (31)
7. কালীপদ পণ্ডিত (49)