কুলতলি, 7 জানুয়ারি: পায়ের ছাপ মিললেও দক্ষিণরায় সামনাসামনি দেখা দেননি ৷ সতর্ক রয়েছে বন দফতর ও পুলিশ ৷ বাঘকে বন্দি করতে মঙ্গলবার দেওয়া হল ছাগলের টোপ ৷ নতুন করে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে জঙ্গলের ধার ৷ বাঘ ধরতে তৈরি করা হয়েছে 30 জনের দল ৷ তাতেও আতঙ্ক কাটছে না কুলতলিতে ৷
সোমবার সকালে কুলতলির মৈপীঠের কিশোরীমোহনপুরে নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায় এলাকার মৎস্যজীবীরা ৷ এরপর থেকেই আতঙ্কিত পুরো গ্রাম । মঙ্গলবার সকালে অবস্থান বদলে উত্তর-পূর্বে সরে এসেছেন দক্ষিণরায় ৷ কারণ উত্তর জগদ্দল লাগোয়া নদীর ধারে পায়ের ছাপ মিলেছে ৷ তা দেখেই বাঘের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নতুন করে প্রায় 1 কিলোমিটার এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে । বাঘ ধরতে শুরু হয়েছে খাঁচা বসানোর তোড়জোড় । লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় বাঘ চলে আসায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা ।
জঙ্গলের পাশেই তাদের বসবাস । রুটিরুজির জন্য জঙ্গলেও যেতে হয় । কিন্তু সেই জঙ্গলে প্রবেশেই নিষেধাজ্ঞা ৷ লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গল নেট দিয়ে ঘিরে ফেলার পাশাপাশি রাস্তায় যাতে পর্যাপ্ত আলো লাগানো হয় তারও দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷ ঘটনাস্থলে রয়েছে মৈপীঠ থানার পুলিশ । পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে ।
এই বিষয়ে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার বনবিভাগের আধিকারিক (ডিএফও) নিশা গোস্বামী বলেন, "আমাদের অফিসার এবং কর্মীরা গ্রাম লাগোয়া এলাকায় ঢুকে পড়া বাঘকে তাড়িয়ে ওরিয়ান নালার ওপারে আজমলমারির জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে । মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বাঘটিকে পুনরায় জঙ্গলে ফেরাতে কার্যত হিমশিম খেয়ে গিয়েছে বড় কর্মীরা ৷ অবশেষে খাঁচা আনা হয়েছে ৷ টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ছাগল ।"