জলপাইগুড়ি, 15 ফেব্রুয়ারি: ফের রাজ্যে চা নিলাম কেন্দ্র খোলার উদ্যোগ শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের। যার আশায় বুক বাঁধছে জলপাইগুড়ি।
সোমবার চা নিলাম কেন্দ্র নিয়ে বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক। দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ জলপাইগুড়ির 'নর্থ বেঙ্গল টি অকশন সেন্টার'। আট বছর বন্ধ থাকার পরে ফের চা নিলাম শুরু হবার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এই বিষয়ে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠক হবে বলে খবর ৷ বৈঠকে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধি, ভারতীয় চা পর্ষদের প্রতিনিধিরা, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় এবং চা শিল্পপতি-সহ স্টেক হোল্ডাররা উপস্থিত থাকবেন।
জানা গিয়েছে, চা নিলাম শুরু করতে কী কী করণীয় তা নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে আলোচনা হবে। শুধু তাই নয়, বৈঠকে নিলাম সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও চা নিয়ে আসা, মজুত রাখা-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। উল্লেখ্য 2005 সালে জলপাইগুড়ি নর্থবেঙ্গল টি অকশন সেন্টারের পথ চলা শুরু হয়। প্রথম দিক চা নিলাম কেন্দ্র ভালোভাবে চালু থাকলেও পরে বহু ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে 2015 সালের পর চা নিলাম বন্ধ হয়ে যায়। ফের সেই নিলাম কেন্দ্র চালু করার দাবি উঠতে থাকে বিভিন্নমহল থেকে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রটি চালু করার দাবিতে আন্দোলনে নামা হয়।
নর্থবেঙ্গল টি অকশন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পুরজিৎ বক্সিগুপ্ত বলেন, "চা নিলাম কেন্দ্রে বিক্রয়কারী, ক্রেতা সকলকে যাতে চা নিলাম কেন্দ্রের কাজ স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেটা আলোচনা হবে। এছাড়া খুব কম সময়ে যাতে নিলাম করা যায় সেই বিষয়টিও আলোচনা করা হবে।" জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষী সমিতির সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, "আগামী সোমবার জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হবে। কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রক থেকেই ভার্চুয়ালি বৈঠক করা হবে। সেখানে মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা যেমন থাকবেন তেমনি জলপাইগুড়ির সাংসদও থাকবেন। চা বাগান মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা, চা নিলাম কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা থাকবেন। আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রটি খুলে যাবে। তাতে জলপাইগুড়ির আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে।"
জলপাইগুড়িস্থিত চা নিলাম কেন্দ্রের সহসভাপতি পুরজিৎ বক্সিগুপ্ত বলেন, "জলপাইগুড়ির নর্থবেঙ্গল চা নিলামকে কেন্দ্রকে আমরা একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছি ৷"