কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি: অঙ্ক কী কঠিন ! তাই এবার উত্তরপত্র ছিঁড়েই ফেলল এক পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটল মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় দিনে। মঙ্গলবারের পর শনিবার ফের পরীক্ষা ৷ আর্থাৎ মাধ্যমিকে অঙ্ক পরীক্ষার আগে 3 দিন ছুটি পেয়েছিল পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে বলে অভিযোগ কিছু পরীক্ষার্থীর।
তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরে সূর্যপুর হাইস্কুলে পরীক্ষা দেওয়া এক পরীক্ষার্থীর। যে বেলান হাইস্কুলের পড়ুয়া। তবে সেই দু টুকরো হয়ে যাওয়া উত্তরপত্র জমা দিতে যান ওই পরীক্ষার্থী। বিষয়টি নজরে আনেন পর্যবেক্ষক। তার মানে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি। ফলে আগামীদিনের পরীক্ষা দিতে পারবে ওই পড়ুয়া।
অন্যদিকে, মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় দিনে বাতিল হল 3 জনের পরীক্ষা। এদিন পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল উদ্ধার করা হয় এই 3 জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৷ হুগলির রিষড়া স্বতন্ত্র হিন্দি বিদ্যালযের পড়ুয়া পরীক্ষা দিচ্ছিল হুগলির রিষড়া ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র হাইস্কুলে ৷ কলকাতার বটতলা হাইস্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছিল কলকাতার বদরতলা হাইস্কুলের এক পড়ুয়া। পুরুলিয়ার জেলা স্কুলের এক পড়ুয়া নেতাজি বিদ্যাপীঠের পরীক্ষা দিচ্ছিল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানান, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই এদের সকলের থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সকলের পরীক্ষায় বাতিল হয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এবারর মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেখানে প্রথম দিন অর্থাৎ প্রথম ভাষার পরীক্ষাতে বাতিল হয়েছিল 3 জনের পরীক্ষা। এরপরের দিন অর্থাৎ দ্বিতীয় ভাষা বা ইংরেজি পরীক্ষার দিন বাতিল হয়েছিল 6 জনের পরীক্ষা। এমন কি সেই দিন প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে গৃহশিক্ষককে পাঠানোর মত অভিযোগে উঠে এসেছিল। উত্তর দিনাজপুরের গোলায়পখর লোধান হাইস্কুলের ছাত্ররা পরীক্ষা দিচ্ছিল নন্দঝড় আধিবাসী তপশিলি হাইস্কুলে। সেখানে তিন ছাত্র প্রশ্নপত্র পাওয়ার 10 মিনিট পর থেকেই তার ছবি তুলে গৃহশিক্ষককে পাঠিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর সেই প্রশ্নপত্রের উত্তরও আসা শুরু হয়। তবে বিষয়টি ধরে ফেলেন পর্যবেক্ষকেরা। তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পাশাপাশি তৃতীয় পরীক্ষার দিন অর্থাৎ আজকেও তিন জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত মাধ্যমিকের তৃতীয় দিনে মোট 12 জনের পরীক্ষা বাতিল হল।