কলকাতা, 5 এপ্রিল: আজ থেকে শুরু হয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনের প্রথমদফার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ৷ তবে, বুথে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে নয় ৷ ভোটগ্রহণ চলছে ভোটদাতাদের বাড়ি থেকে ৷ 85 বছর ও তার উর্ধ্বে এবং চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী শারীরিকভাবে 40 শতাংশ বিশেষভাবে সক্ষমদের বাড়িতে গিয়ে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে ৷ তবে, এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী সংশাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক ৷ পাশাপাশি পুলিশ, দমকল, রেলকর্মী এমন 18টি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের জন্য বাড়িতে বসে ভোটদান শুরু হয়েছে ৷
19 এপ্রিল প্রথম দফা থেকে রাজ্য শুরু হচ্ছে নির্বাচন । ভোট হবে তিনটি কেন্দ্রে - কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ৷ আর তার আগে ওই তিন লোকসভা কেন্দ্রের হোম-ভোটিং বা বাড়ি বসে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আজ থেকে ৷ প্রথম দফার হোম-ভোটিং প্রক্রিয়া আজ থেকে আগামী 14 এপ্রিল পর্যন্ত চলবে ৷ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কোচবিহারে 2 হাজার 292 জন প্রবীণ, 761 জন বিশেষভাবে সক্ষম এবং 1 হাজার 691 জন জরুরি পরিষেবার কর্মী রয়েছেন ৷ অর্থাৎ, কোচবিহারে মোট 4 হাজার 744 জন অ্যাবসেন্টি হোম-ভোটিংয়ের সুবিধা পাবেন ৷
একইভাবে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে 1 হাজার 911 জন প্রবীণ, 962 জন বিশেষভাবে সক্ষম এবং 266 জন জরুরি পরিষেবার কর্মী রয়েছেন ৷ সেখানে মোট অ্যাবসেন্টি ভোটার 3 হাজার 139 জন ৷ জলপাইগুড়ির কেন্দ্রে 2 হাজার 486 জন প্রবীণ, 1 হাজার 323 জন বিশেষভাবে সক্ষম এবং 305 জন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী রয়েছেন ৷ সবমিলিয়ে মোট ভোটার 4 হাজার 114 জন ৷ কোভিড পরিস্থিতিতে 2021 সালে 80 বছর ও তার উর্ধ্বের ভোটারদের জন্য এই পরিষেবা চালু করা হয়েছিল ৷ এবার তা পরিবর্তন করে 85 বছর করা হয়েছে ৷
প্রত্যেক দফা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শুরু থেকে শেষদিনের পরে আরও 5 দিন পর্যন্ত হোম-ভোটিংয়ের আবেদন করা যাবে ৷ এর জন্য সংশ্লিষ্ট ভোটারকে কমিশনেক 12ডি ফর্ম পূরণ করে আবেদন জানাতে হবে ৷ কমিশন সেই ফর্মগুলি যাচাই করে, যোগ্য ভোটারদের জানানো হবে কবে তাঁদের বাড়িতে হোম-ভোটিংয়ের জন্য কমিশন থেকে আধিকারিকরা যাবেন ৷ কমিশন সূত্রে খবর, ব্যালট পেপার ছাপা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই হোম-ভোটিং পরিষেবা শুরু হয়ে যায় ৷ মূল নির্বাচনের 5 দিন আগে এই হোম ভোটিং প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ৷
হোম ভোটিংয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ভোটারের বাড়িতে দু’জন নির্বাচনী আধিকারিক যাবেন ৷ একজন ব্লক স্তরের আধিকারিক থাকবেন ৷ তাঁর সঙ্গে থাকবেন একজন নিরাপত্তারক্ষী ৷ তবে, নিরাপত্তারক্ষীর ক্ষেত্রে তা কেন্দ্রীয় বাহিনী হতে হবে তেমনটা বলা নেই ৷ এছাড়া থাকবেন একজন ব্যক্তি, যিনি এই পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিয়োগ্রাফি করবেন ৷ এর বাইরে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের একজন করে প্রতিনিধি যেতে পারেন ৷
নির্বাচন আধিকারিকদের সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন ব্যালট পেপার, আঙ্গুলে লাগানোর কালি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে ৷ বাড়িতেই তৈরি করতে হবে, একটি সিক্রেট ভোটিং-কম্পার্টমেন্ট ৷ ভারতের নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া মাপ অনুযায়ী এই কম্পার্টমেন্ট তৈরি করতে হবে ৷ সেই জন্য সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে একটি পিচবোর্ড ৷ ভোট প্রক্রিয়া শেষ হলে ব্যালট পেপারটিকে ভোটারের সামনেই একটি খামের মধ্যে ভরে, খামের মুখ সিল করে দিতে হবে ৷ এরপর এই সিল খামটি সোজা চলে যাবে ট্রেজারিতে ৷ এরপরে 4 জুন ভোটগণনার দিন সবার প্রথমে এই ব্যালট পেপারগুলি খোলা হবে ৷
আরও পড়ুন: