ক্যানিং, 6 সেপ্টেম্বর: আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সন্দীপ ঘোষের রয়েছে বিলাসবহুল বাংলো ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের সেই বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে ক্যানিং 2 নম্বর ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ধৃত সন্দীপের এই বাংলোটি প্রায় 10 বিঘা জমির উপর তৈরি হয়েছে, বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। বাড়িটির নামও রয়েছে, তা হল-'সঙ্গীতা-সন্দীপ ভিলা'। কী বলছেন সেই বাগানবাড়ির কেয়ারটেকার ?
জানা গিয়েছে, বছর দুই আগে এই বাংলোটি তৈরি করা হয়েছিল। দেখভাল করার জন্য রয়েছে একজন কেয়ারটেকারও ৷ মাঝেমধ্যেই পরিবার নিয়ে এখানে সময় কাটাতে আসতেন সন্দীপ ঘোষ। কিছুক্ষণ থাকার পর আবার বেরিয়ে যেতেন। কিন্তু, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের খবর শিরোনামে আসতেই এখানে আর আসেননি প্রাক্তন অধ্যক্ষ। আপাতত তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিলাসবহুল বাংলোটি। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের গ্রেফতারের পর থেকেই তার নানা বিষয়কে ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে সাধারণ মানুষের। এবার তাঁর এই বিলাসবহুল বাংলাকে ঘিরেও আগ্রহ তুঙ্গে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ক্যানিংয়ের এই ব্লকের ঘুটিয়ারি শরিফের নারায়ণপুর মৌজাতে কেনা হয়েছে কয়েকশো বিঘা জমি। শুধু তাই নয়, সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল বাংলো বাড়ি। স্থানীয় বেশ কিছু যুবক সেখানে ফার্ম হাউস তৈরি করেছেন। কিন্তু পুরোটাই চলত সন্দীপ ঘোষের নির্দেশ মতোই। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের অপচয়, ভেন্ডার নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ছাড়াও বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিক্রি করা-সহ একাধিক অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিবিআই। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজনকে। সেই সন্দীপ ঘোষেরই একটি বাংলো বাড়ির হদিশ মিলেছে ক্যানিং 2 নম্বর ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। বাড়িটির নাম 'সঙ্গীতা-সন্দীপ ভিলা'।
তাঁর সেই বাড়ির কেয়ারটেকার জাকির লস্কর বলেন, "তিনি মাঝেমধ্যেই পরিবার নিয়ে এই নারায়ণপুরের বাংলো বাড়িতে আসতেন। প্রায় দু'বছর আগে তিনি এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। সারাদিন থাকতেন। খানিক সময় কাটিয়ে তারপর বেরিয়ে যেতেন।"
তবে সেই বাড়িটি এখন তালাবন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। যোগাযোগও বন্ধ সেই বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গে। আরজি করের ঘটনার পর থেকে নারায়ণপুরের সেই বাড়িতে আর আসেননি সন্দীপ ঘোষ ৷