কলকাতা, 29 এপ্রিল: সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের ফেরি পারাপার বা সার্ভিস এবং মাছের ভেড়ির টেন্ডার বেআইনি ৷ এমনকী বেআইনি এইসব ব্যবসার আড়ালে কোটি কোটি কালো টাকা আত্মসাৎ করেছেন রাজ্যের 2-3 জন মন্ত্রীও। যদিও সেই সব মন্ত্রী কারা, সেই নাম যদিও প্রকাশ্যে আনা হয়নি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে ৷ তবে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিস্ফোরক দাবি ঘিরে শাহজাহান মামলার শুনানি চলাকালীন সোমবার উত্তাল হয়ে ওঠে নগর-দায়রা আদালত চত্বর ৷
ব্যাঙ্কশাল আদালতে এদিন মামলার শুনানিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দাবি করে, 2016 থেকে 2023 শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের ঘুরপথে ফেরি পারাপার-সহ বিভিন্ন ব্যবসার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ ঠিক এরপরেই ঘটনার মোড় ঘুরছে ৷ শাহজাহানের একাধিক ব্যাংক ডিটেলস এবং পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে 'ঘটনায় রাজ্যের মন্ত্রীরাও যুক্ত রয়েছেন' বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, শেখ শাহজাহান এবং তার দুই ভাই ধৃত শেখ আলমগীর এবং পলাতক ডাক্তার সিরাজের সঙ্গে রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল।
মাছের ভেরি থেকে শুরু করে ফেরি পারাপার ব্যবসায় নৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শাহজাহানের নামে পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করত ওই দুই ভাই। শুনানিতে এদিন স্বভাবতই সরবেড়িয়ার অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পাওয়ার প্রসঙ্গটি ৷ ইডি আধিকারিকদের দাবি, সরবেড়িয়ায় অস্ত্রভাণ্ডারের যে হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তার অস্ত্রশস্ত্র কেনা হয়েছিল শাহজাহানের একাধিক বেআইনি কারবারের লভ্যাংশ থেকেই।
অন্যদিকে সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য সরকারের মামলার শুনানি সোমবার তিনমাসের জন্য মুলতুবি করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আপাতত সন্দেশখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তে হস্তক্ষেপ করছে না আদালত ৷ ঘটনায় রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনাও করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে আগামী জুলাই মাসে ৷
আরও পড়ুন: