কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: মার্চের শুরুতেই 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যেতে পারে ৷ আর তার আগে প্রতিটি রাজ্যের পুলিশকে বদলি সংক্রান্ত একটি নয়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে বদলিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন ৷ নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, তিন বছর বা তার বেশি যে সকল পুলিশ আধিকারিক একটি লোকসভা কেন্দ্রে কর্তব্যরত রয়েছেন তাঁদের এবার অন্য লোকসভা কেন্দ্রে বদলি করতে হবে ৷
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে লোকসভা ভিত্তিক কেন বদলির নির্দেশিকা ? কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 2019 সালে লোকসভা এবং তারপর বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে ৷ সেই সময় প্রতিটি রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তিন বছর বা তার বেশি কোনও পুলিশ আধিকারিক একটি জেলায় কর্তব্যরত থাকলে তাঁকে অন্য জেলায় বদলি করতে হবে ৷ কিন্তু, বেশ কয়েকটি রাজ্যের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সেই নির্দেশিকা সঠিকভাবে মানা হয়নি ৷ অর্থাৎ, বিধানসভা ও জেলাভিত্তিক বদলি হলেও, পুলিশ আধিকারিকদের লোকসভা কেন্দ্র একই থেকেছে ৷
অনেক সময় দেখা যায় লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র দু’টি জেলার মধ্যে পড়েছে ৷ এবার দু’টি জেলার মধ্যে আধিকারিক বদল হলে বিধানসভাত কেন্দ্র বদলে যাচ্ছে ৷ কিন্তু, দু’টি জেলার সাতটি বিধানসভা নিয়ে লোকসভা কেন্দ্রটি তৈরি হওয়ায় বদলিতে সেই স্বচ্ছতা থাকছে না ৷ তাই এবার নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু জেলাভিত্তিক নয়, পুলিশ আধিকারিকদের বদলি করতে হবে লোকসভা কেন্দ্রের বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ৷
এই নির্দেশিকার প্রধান উদ্দেশ্য, স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করা ৷ কমিশন মনে করছে, যে সব পুলিশ আধিকারিক একটি জেলা বা লোকসভা কেন্দ্রে তিন বছর বা তার চেয়েও বেশি সয়ম অথবা নিজের জেলায় কর্তব্যরত রয়েছেন, তাঁরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারেন ৷ এই সম্ভাবনাকে একেবারে শূন্য করে দিতেই এমন নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন ৷
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে সন্দেশখালি ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে ৷ ফলে নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে ৷ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কমিশন সাতটি বিষয় উল্লেখ করে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ৷ সেখানে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে, ভুয়ো খবরের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে । এমনকী কোন রাজনৈতিক দল, কোথায়, কী কথা বলছে- সেই বিষয়ও বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: