মেদিনীপুর, 23 অগস্ট: স্কুল চত্বরে শিক্ষা দফতরের অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবে না পড়ুয়ারা, জারি হল জেলা বিদ্যালয় স্কুল পরিদর্শকের নোটিশ ৷ গত বুধবার একটি স্কুলের পড়ুয়ারা আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে আন্দোলন করে ৷ সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই নোটিশ বলে মনে করছে শিক্ষক মহল ৷ এদিকে এই নোটিশের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় স্কুল পরিদর্শক বা ডিআই (মাধ্যমিক) স্বপন সামন্ত একটি নোটিশ জারি করে এই নির্দেশের কথা জানিয়েছেন ৷ এই নোটিশে জানানো হয়েছে, স্কুলের পড়ুয়ারা তাদের স্কুলের অনুষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না ৷ অধিকাংশ শিক্ষক জানিয়েছেন, তাঁরা ই-মেইল মারফত এই নোটিশ পেয়েছেন ৷
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন ৷ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেও ডাক্তাররা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ রাজনৈতিক দলগুলিও প্রতিবাদে পথে নেমেছে ৷ আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে ৷ রাজ্যের সাধারণ মানুষও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ।
Hirak Rani is trembling with fear. The spontaneous Public Outrage has cornered her Govt and shaken up her whole Administration.
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) August 22, 2024
The Public movement is spreading across the State and more and more people are hitting the streets.
A certain call for 'Nabanna Avijan' by apolitical… pic.twitter.com/P7JXOYL6DJ
পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি কলেজ, বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন, সমিতিও প্রায় প্রতিদিনই প্রতিবাদ মিছিল করছে ৷ এই নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার শালবনি বিধানসভার নান্দাড়িয়া বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের পড়ুয়ারা একটি মিছিলে অংশগ্রহণ করে ৷ স্কুলে ক্লাস শেষ করে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে হাতে ব্যানার, ফ্লেক্স, ফেস্টুন নিয়ে রাস্তায় মিছিল করে ৷ তাদের প্রতিবাদের ভিডিয়ো বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের চ্যানেল এবং সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ৷ এরপরই তড়িঘড়ি স্কুল পরিদর্শক এই নোটিশ জারি করলেন ৷ এই নোটিশ জারি করা নিয়ে ডিআই-এর সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি ৷
এদিকে এই নোটিশ জারিকে অগণতান্ত্রিক ফতোয়া বলে মন্তব্য করেছে বাম ছাত্র সংগঠন ৷ অন্যদিকে এই নোটিশ ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষকই জানিয়েছেন, স্কুল শেষ হয়ে যাওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীরা কোথায় কী করবে বা কোন অনুষ্ঠানে যাবে, তা স্কুল কীভাবে আটকাবে ? এক্ষেত্রে পড়ুয়ারা তাদের বাবা-মা যা বলবেন, তাই শুনবে ৷