ETV Bharat / state

মশা দমনে সহনাগরিকদের সাহায্য চাইলেন অতীন, শহরের হাজার আবাসনে পৌঁছল আবেদনপত্র - KMC Mosquito Control Campaign

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 2, 2024, 9:53 PM IST

KMC Mosquito Control Campaign: কলকাতায় পুরোদমে ইনিংস খেলছে বর্ষা ৷ আর এই বৃষ্টিতে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মশার উপদ্রব বাড়বে ৷ তাই মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য এবার নাগরিকদের কাছে চিঠি লিখেছেন মেয়র পারিষদ তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ৷

KMC Mosquito Control Campaign
কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ৷ (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 2 অগস্ট: মশা দমনে এবার কলকাতা শহরের বহুতল আবাসনগুলির সাহায্য চাইল কলকাতা পুরনিগম ৷ আবাসনগুলির বাসিন্দাদের কাছে সাহায্য চেয়ে চিঠি পাঠালেন খোদ কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ ৷ কলকাতার নানা প্রান্তে থাকা 1600 আবাসনের মধ্যে প্রায় 1000 আবাসনে সেই আবেদনপত্র ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ৷

কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ৷ (ইটিভি ভারত)

স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আবাসনগুলিকে মশা মুক্ত করা ও নিরাপদ থাকার আবেদন করা হয়েছে চিঠিতে ৷ অতীতে বিভিন্ন আবাসনের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠালেও, এবারই প্রথম আবেদনপত্র গেল ৷ আগামী 8 অগস্ট রাজ্য ও কেন্দ্রের সমস্ত এজেন্সির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করবে কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ ৷

কলকাতায় বর্ষা শুরু হতেই মশা বাহিত রোগের প্রকোপ শুরু হয়েছে ৷ তাই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি রোধে শহরের সব আবাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়ে এই চিঠি পাঠাচ্ছেন অতীন ঘোষ ৷ শহরের আবাসনগুলিতে প্রতিবছর ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচার ও অভিযানে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের ৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা ঢুকতে পারেন না আবাসনগুলির ভিতরে ৷ এমনকী অনেক সময় দেখা যায়, আবাসনের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি মশাবাহিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন, অন্যান্য এলাকার তুলনায় ৷ তাই সমন্বয় রেখে মশাবাহিত রোগ ঠেকাতে আগাম আবেদন করলেন ডেপুটি মেয়র ৷

পুরনিগম সূত্রে খবর, আরবানা, সাউথ সিটি, হিমাদ্রি টাওয়ার, ডায়মন্ড সিটি, মার্লিন টাওয়ারের মতো মোট 922টি আবাসনের কাছে ইতিমধ্যেই ডেপুটি মেয়রের চিঠি পৌঁছেছে ৷ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই সমস্ত বিল্ডিংয়ে যাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয় ৷ কোথাও নোংরা ফেলা হচ্ছে কিনা, ব্যালকনির টব, ফ্রিজের জল বা আবাসনের ছাদে কোথাও জল জমা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন কর্মীরা ৷ যদি, কোথাও এমন অব্যবস্থা দেখা যায়, সেক্ষেত্রে সতর্ক করা হবে ৷

একই সঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে সতর্ক করবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা ৷ তারপরেও কোথাও অব্যবস্থা দেখলে, স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে রিপোর্ট ফাইল করবেন ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা ৷ প্রথমে পুর-আইন অনুযায়ী 496-এর নোটিশ ধরানো হবে অভিযুক্তকে ৷ তারপরেও কাজ না হলে, যে ব্যক্তির নামে রিপোর্ট ফাইল করা হবে, তাকে মিউনিসিপাল কোর্টে তোলা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র ৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে ৷ সেক্ষেত্রে মোটা টাকার জরিমানা গুণতে হতে পারে ৷ ইতিমধ্যেই 2023-24 অর্থবর্ষে মোট 21১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ ৷

এদিন অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, "করোনার মতো ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়াকে নোটিফায়বেল রোগ হিসেবে ঘোষণা করুক কেন্দ্রীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য কল্যাণ মন্ত্রক‌ ৷ তাতে করোনার মতো অতি সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে এই মশাবাহিত রোগগুলিকে ৷ অনেক সময় বেসরকারি হাসপাতাল বা প্যাথলজিক্যাল সেন্টার থেকে সঠিক তথ্য পৌঁছয় না পুরনিগমের হাতে ৷ স্বাস্থ্য বিভাগের ডাটা কালেক্টর নিয়োগ করলেও, অনেক সময় ফাঁক থেকে যায় ৷ কিন্তু, করোনা কালের মতো নটিফায়বেল রোগ ঘোষণা করে, যদি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করা যায় তাহলেই গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব ৷"

উল্লেখ্য, চলতি বছরে শহর কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত 28 জুলাই পর্যন্ত ছিল 204 ৷ যা গতবারের তুলনায় যা 40 শতাংশ কম ৷ অন্যদিকে, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা 1093 ৷ গত বছরের তুলনায় কমেছে প্রায় 53 শতাংশ ৷ যা গত বছর ছিল 2338 ৷ আগামী 8 আগস্ট বৈঠকে বসছে কলকাতা পুরনিগম ৷ সেই বৈঠকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমস্ত এজেন্সিগুলিকে ডাকা হয়েছে ৷ সেখানে সমন্বয় তৈরি করে মশাবাহিত রোগ নিধনের একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতীন ঘোষ ৷

কলকাতা, 2 অগস্ট: মশা দমনে এবার কলকাতা শহরের বহুতল আবাসনগুলির সাহায্য চাইল কলকাতা পুরনিগম ৷ আবাসনগুলির বাসিন্দাদের কাছে সাহায্য চেয়ে চিঠি পাঠালেন খোদ কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ ৷ কলকাতার নানা প্রান্তে থাকা 1600 আবাসনের মধ্যে প্রায় 1000 আবাসনে সেই আবেদনপত্র ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ৷

কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ৷ (ইটিভি ভারত)

স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আবাসনগুলিকে মশা মুক্ত করা ও নিরাপদ থাকার আবেদন করা হয়েছে চিঠিতে ৷ অতীতে বিভিন্ন আবাসনের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠালেও, এবারই প্রথম আবেদনপত্র গেল ৷ আগামী 8 অগস্ট রাজ্য ও কেন্দ্রের সমস্ত এজেন্সির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করবে কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ ৷

কলকাতায় বর্ষা শুরু হতেই মশা বাহিত রোগের প্রকোপ শুরু হয়েছে ৷ তাই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি রোধে শহরের সব আবাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়ে এই চিঠি পাঠাচ্ছেন অতীন ঘোষ ৷ শহরের আবাসনগুলিতে প্রতিবছর ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচার ও অভিযানে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের ৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা ঢুকতে পারেন না আবাসনগুলির ভিতরে ৷ এমনকী অনেক সময় দেখা যায়, আবাসনের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি মশাবাহিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন, অন্যান্য এলাকার তুলনায় ৷ তাই সমন্বয় রেখে মশাবাহিত রোগ ঠেকাতে আগাম আবেদন করলেন ডেপুটি মেয়র ৷

পুরনিগম সূত্রে খবর, আরবানা, সাউথ সিটি, হিমাদ্রি টাওয়ার, ডায়মন্ড সিটি, মার্লিন টাওয়ারের মতো মোট 922টি আবাসনের কাছে ইতিমধ্যেই ডেপুটি মেয়রের চিঠি পৌঁছেছে ৷ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই সমস্ত বিল্ডিংয়ে যাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয় ৷ কোথাও নোংরা ফেলা হচ্ছে কিনা, ব্যালকনির টব, ফ্রিজের জল বা আবাসনের ছাদে কোথাও জল জমা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন কর্মীরা ৷ যদি, কোথাও এমন অব্যবস্থা দেখা যায়, সেক্ষেত্রে সতর্ক করা হবে ৷

একই সঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে সতর্ক করবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা ৷ তারপরেও কোথাও অব্যবস্থা দেখলে, স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে রিপোর্ট ফাইল করবেন ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা ৷ প্রথমে পুর-আইন অনুযায়ী 496-এর নোটিশ ধরানো হবে অভিযুক্তকে ৷ তারপরেও কাজ না হলে, যে ব্যক্তির নামে রিপোর্ট ফাইল করা হবে, তাকে মিউনিসিপাল কোর্টে তোলা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র ৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে ৷ সেক্ষেত্রে মোটা টাকার জরিমানা গুণতে হতে পারে ৷ ইতিমধ্যেই 2023-24 অর্থবর্ষে মোট 21১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ ৷

এদিন অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, "করোনার মতো ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়াকে নোটিফায়বেল রোগ হিসেবে ঘোষণা করুক কেন্দ্রীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য কল্যাণ মন্ত্রক‌ ৷ তাতে করোনার মতো অতি সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে এই মশাবাহিত রোগগুলিকে ৷ অনেক সময় বেসরকারি হাসপাতাল বা প্যাথলজিক্যাল সেন্টার থেকে সঠিক তথ্য পৌঁছয় না পুরনিগমের হাতে ৷ স্বাস্থ্য বিভাগের ডাটা কালেক্টর নিয়োগ করলেও, অনেক সময় ফাঁক থেকে যায় ৷ কিন্তু, করোনা কালের মতো নটিফায়বেল রোগ ঘোষণা করে, যদি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করা যায় তাহলেই গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব ৷"

উল্লেখ্য, চলতি বছরে শহর কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত 28 জুলাই পর্যন্ত ছিল 204 ৷ যা গতবারের তুলনায় যা 40 শতাংশ কম ৷ অন্যদিকে, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা 1093 ৷ গত বছরের তুলনায় কমেছে প্রায় 53 শতাংশ ৷ যা গত বছর ছিল 2338 ৷ আগামী 8 আগস্ট বৈঠকে বসছে কলকাতা পুরনিগম ৷ সেই বৈঠকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমস্ত এজেন্সিগুলিকে ডাকা হয়েছে ৷ সেখানে সমন্বয় তৈরি করে মশাবাহিত রোগ নিধনের একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতীন ঘোষ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.